‘ঘুষ’ নেয়ার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) হিসাবরক্ষক মাসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। গতকাল এ মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া কেন বিধি মোতাবেক শাস্তি দেয়া হবে না তা লিখিতভাবে জানাতে মাসুদকে ১০ কার্যদিবস সময় দিয়ে নোটিশ দেয়া হয়।
এর আগে ঠিকদারকে উন্নয়ন কাজের বিলের চেক দেয়ার বিপরীতে ‘ঘুষ’ হিসেবে নগদ টাকা নিচ্ছেন; মাসুদুল ইসলামের এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে গত ২৫ আগস্ট। দেড় মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, এক ঠিকাদারকে বিলের চেক দেন মাসুদ। তখন ওই ঠিকাদার তার হাতে টাকা দেন। টাকা নিয়ে তা নিজের প্যান্টের পকেটে রেখে দেন তিনি। তবে টাকার অংক স্পষ্ট দেখা যায়নি। ভিডিওর ১ মিনিট ৫ সেকেন্ডে দেখা গেছে, আরেকজন ৫০০ টাকার নোট দিচ্ছেন মাসুদকে।
এ ঘটনায় ২৭ আগস্ট তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে চসিক। এছাড়া একইদিন অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত বৃহষ্পতিবার কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে মাসুদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করা হয়। এরপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়।
এদিকে গতকাল মাসুদকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে। চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্মচারী চাকরি বিধিমালা, ২০১৯ এর বিধি ৪৯ দফা (খ) অনুসারে মাসুদকে গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া কেন উনাকে উক্ত বিধি মোতাবেক উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হবে না তা নোটিশ প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগত শুনানিতে কোনো কিছু জ্ঞাত করতে চাইলে বা আত্মপক্ষ সমর্থনে কোনো সাক্ষ্য উপস্থাপন করতে চাইলে লিখিতভাবে তার নাম উল্লেখ করতে বলা হয়।
বিষয়টি আজাদীকে নিশ্চিত করেন চসিকের প্রধান নির্বাহী শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।