রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির সামপ্রতিক এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার প্রেসিডেন্টের মেয়াদকালের মোট কার্যদিবসের উল্লেখযোগ্য অংশ ছুটিতে কাটিয়েছেন। তথ্য অনুযায়ী, ৮১ বছর বয়সী নেতা তার ক্ষমতাকালীন সময়ে চার বছরেরও কম সময়ে ৫৩২ দিন ছুটি নিয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
অর্থাৎ মোট কার্যদিবসের প্রায় ৪০ শতাংশ সময়ই তিনি দাপ্তরিক কাজের বাইরে কাটিয়েছেন। এনডিটিভি জানায়, একজন মার্কিন কর্মী তার কর্মজীবনের প্রায় পাঁচ দশকে যতোটা ছুটি কাটিয়ে থাকেন তুলনায় তার চেয়ে অনেক কম সময়ে বাইডেন বেশি ছুটি কাটিয়েছেন। একজন সাধারণ মার্কিন নাগরিক বছরে ১১ দিন ছুটি পান।
এই হিসাবে বাইডেনের অবকাশকালীন সময় একজন সাধারণ মার্কিন নাগরিকের প্রায় ৪৮ বছরের ছুটির দিনগুলোর সমতুল্য। সমালোচকরা বলেন, বিশ্বব্যাপী এতো অনিশ্চয়তা আর অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যে প্রেসিডেন্টের এই দীর্ঘ সময় ছুটি কাটানো খুব দৃষ্টিকটু। নিউ ইয়র্ক পোস্টে প্রকাশিত উদ্ধৃতিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে হোয়াইট হাউসের বাজেট দপ্তরে দায়িত্ব পালন করা মার্ক পাওলেটা অনেকটা ব্যঙ্গ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পুরো বিশ্ব যখন আগুনে পুড়ছে, তখন বাইডেন সমুদ্র সৈকতে অবকাশ যাপনে ব্যস্ত। সমালোচকরা মুদ্রাস্ফীতি, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক সংঘাতের মতো বিষয়গুলোর উল্লেখ করে বলেছেন, প্রেসিডেন্টকে বিষয়গুলো মোকাবিলায় আরও মনোনিবেশ করা উচিত ছিল। এদিকে প্রেসিডেন্টের সহযোগীরা বলছেন, ছুটিতে থাকলেও তার পূর্বসূরীদের মতো বাইডেন দূর থেকেই তার দাপ্তরিক কাজ চালিয়ে যেতেন। তবে সাবেক প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, বাইডেনই প্রেসিডেন্ট হিসেবে সবচেয়ে বেশি ছুটি কাটিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মোট কার্যদিবসের ২৬ শতাংশ ছুটিতে কাটিয়েছেন। আর বারাক ওমাবা ও রোনাল্ড রিগ্যান তাদের মোট কার্যদিবসের ১১ শতাংশ ছুটি কাটিয়েছেন। আরেকজন সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার তার চার বছরের শাসনামলে মাত্র ৭৯ দিন ছুটি নিয়েছিলেন।