আন্দোলন, সংঘাত, কারফিউ আর অচলাবস্থার মধ্যে জুলাইয়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে যাওয়া মূল্যস্ফীতির পারদ আগস্টে সামান্য নেমে এলেও এখনো দুই অংকের ঘরেই রয়েছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এর মানে হল, ২০২৩ সালের অগাস্টে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পাওয়া যেত, সেই পণ্য বা সেবা পেতে এ বছর আগস্টে ১১০ টাকা ৪৯ পয়সা খরচ করতে হয়েছে। জুলাই মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আর ২০২৩–২৪ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল রোববার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) থেকে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, আগস্টের মূলস্ফীতির পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে খাদ্য পণ্যের উচ্চমূল্য। আগস্টে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ, যেখানে খাদ্য বহির্ভূত খাতে এই হার ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। তার আগের মাস জুলাইয়ে খাদ্য খাতে ১৪ দশমিক ১০ ভাগ এবং খাদ্য বহির্ভূত খাতে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতি দেখেছিল বাংলাদেশ।
জুলাইয়ে শুরু হওয়া ছাত্রজনতা আন্দোলন চূড়ান্ত পরিণতি পায় ৫ আগস্ট। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ায় উৎপাদনের পাশাপাশি পণ্য সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। এরপর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে মারাত্মক বন্যার মুখোমুখি হয় দেশের পূর্বাঞ্চল। এর প্রভাবও মূল্যস্ফীতিতে পড়েছে।