পাকিস্তান সিরিজ শেষে সব ক্রিকেটার দেশে ফিরলেও ফেরেননি সাকিব আল হাসান। পাকিস্তান থেকেই ইংল্যান্ডে উড়াল দিয়েছেন সাকিব। তিনি ইংল্যান্ডে গেছেন কাউন্টি খেলতে। সারের হয়ে সেখানে একটি ম্যাচ খেলবেন তিনি।
সারের হয়ে এখন মাত্র একটি ম্যাচ খেললেও দলটির সঙ্গে চার ম্যাচের জন্য চুক্তি করেছিলেন সাকিব। বিসিবিও সাকিবকে সেভাবে অনাপত্তিপত্র দিয়েছিল। তবে ভারত সিরিজে খেলায় সারের হয়ে এক ম্যাচের বেশি খেলতে পারবেন না সাকিব। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ভারত সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। ভারতে সেদিনই সাকিবেরও যোগ দেওয়ার কথা দলের সঙ্গে। কিন্তু ভারত সফরের পরই ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে দলের সঙ্গে থাকবেন কিনা সাকিব? এমন প্রশ্নের জবাবে বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেন, ‘সাকিব ইংল্যান্ড থেকে ভারতে আসবে খেলতে, আপাতত আমরা সেটুকুই জানি। সেটুকুর মধ্যে থাকতে চাই।’ একইদিনে মিরপুরে চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে নিয়ে ফাহিম জানান, ‘হেড কোচ আসবে, এখানেই আসবে।’ এরপর ভারত সিরিজকে সামনে রেখে দলের অনুশীলন নিয়ে ফাহিম বললেন, ‘ইনজুরির কোনো সমস্যা নাই আমি যতটুক জানি। পুরো দলকেই পাওয়া যাবে, সাকিব কাউন্টি খেলতে গেছে, আর বাকি সবাই থাকবে।’ উল্লেখ্য, ১৯ তারিখ থেকে ভারতের মাটিতে শুরু হবে বাংলাদেশ ও ভারতের দুই টেস্ট ও তিন টি–টোয়েন্টির সিরিজ। কানপুরে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে দুই দলের খেলার কথা দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। দুটি টেস্টই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকালে ১০টায়। এরপরেই টি–টোয়েন্টি সিরিজ। ৬ অক্টোবর গোয়ালিয়রে প্রথম টি–টোয়েন্টির পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় টি–টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে ৯ ও ১২ অক্টোবর। এই সিরিজের সবগুলো ম্যাচই হবে দিবারাত্রির। পাকিস্তানকে হারানোর পর ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস বেশি থাকবে এমনই ধারণা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমের। সেইসঙ্গে ভারতও বাংলাদেশকে সমীহ করবে বলে বিশ্বাস এই বোর্ড পরিচালকের।
মিরপুরে আলাপকালে বিসিবি পরিচালক ফাহিম বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশকে আগের তুলনার আরও সমীহ করবে। আরেকটু প্ল্যানড ওয়েতে খেলার চেষ্টা করবে। আগে হয়ত বাংলাদেশকে যেভাবে দেখত সেভাবে দেখবে না। আমার মনে হয় বাংলাদেশের জন্য ভারত তুলনামূলক একটু শক্ত প্রতিপক্ষ। যে মানসিকতা নিয়ে পাকিস্তানের সাথে খেলেছি সেই মানসিকতা নিয়েই খেলতে পারি কিনা সে চ্যালেঞ্জটা ধারাবাহিকভাবে বজায় রাখতে পারি কিনা এটা চ্যালেঞ্জ হবে।’
ভারত সিরিজে পাকিস্তানের তুলনায় আরও ধৈর্য্যশীল হতে হবে বলেও মন্তব্য বিসিবির এই পরিচালকের, ‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেভাবে যত সহজে চাপ দিতে পেরেছি ভারতের ক্ষেত্রে হয়ত সেটা হবে না। সেখানে আমাদের আরও ধারাবাহিক হতে হবে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। তবে আত্মবিশ্বাসটা খুব জরুরি। সেটা যদি আমরা ধরে রাখতে পারি আমাদের এখন শক্তিটা আছে ভালো করার।’ ফাহিমের ভাষ্য, ‘বিশেষ করে আমাদের বোলিংয়ে যে শক্তিটা দেখেছি তা যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি ভালো সুযোগ আছে আমরা আগের তুলনায় আরও বেশি কর্তৃত্ব দেখাতে পারব।’ বাংলাদেশ দলের বোলিং নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ফাহিম, ‘যেকোনো ফরম্যাটে তারা (ভারত) অবশ্যই ভালো দল। টি–টোয়েন্টির কথা এই মুহূর্তে বলা একটু মুশকিল। তবে টেস্ট ক্রিকেট এমন একটা ফরম্যাট যে ফরম্যাটটা সব ফরম্যাটকে উন্নত করতে ভূমিকা রাখতে পারে। আমি নিশ্চিত সেই আত্মবিশ্বাসটা এখানে কাজে আসবে। বোলিংটা আমাদের খুব ভালো হচ্ছে। বোলিং শক্তি যেকোনো দলের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।’