পথচারীদের জন্য কালুরঘাট সেতুতে নির্মাণ করা ওয়াকওয়ে দিয়ে চলছে মোটরসাইকেল। ওয়াকওয়ের দুই প্রান্তে সিঁড়ি তৈরি করে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এসব সিঁড়ি অতিক্রম করে মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা যায় প্রতিদিন। এতে একদিকে ভোগান্তিতে পড়ছেন জনসাধারণ, অপরদিকে যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েকজন মোটরসাইকেল আরোহী একত্রিত হয়ে একে অপরের মোটরসাইকেল ওয়াকওয়ের সম্মুখে থাকা সিঁড়ি অতিক্রম করতে সহযোগিতা করে। পরে ওয়াকওয়ে দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল করে।
ওয়াকওয়ে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় আবদুস ছাত্তার বলেন, কিছুদিন ধরে বেশি মোটরসাইকেল ওয়াকওয়ে দিয়ে যাওয়া–আসা করছে। এতে হেঁটে যাওয়া মানুষগুলোর ভোগান্তি হচ্ছে। মো. কামাল উদ্দিন নামে একজন বলেন, আমি প্রতিদিন ওয়াকওয়ে দিয়ে চলাচল করি। প্রায় সময় মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা যায়। এতে যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা হতে পারে।
মোটরসাইকেল আরোহী মো. সজীব বলেন, আমরা ইচ্ছে করে ওয়াকওয়ে দিয়ে মোটরসাইকেল চালাই না। ফেরিতে গাড়ি পরিপূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ছাড়ে না। অনেক সময় জরুরি কাজ থাকায় ওয়াকওয়ে দিয়ে চলে যেতে হয়। আরেক বাইক আরোহী মো. এমদাদ বলেন, জোয়ারের সময় ফেরি পারাপার হয় না। পণ্টুন ডুবে গেলে গাড়ি ফেরিতে উঠতে পারে না। শাহ্ আমানত সেতু দিয়ে যেতে হলে অনেক সময়ের প্রয়োজন। তাই আমরা বাধ্য হয়ে ওয়াকওয়ে দিয়ে মোটরসাইকেল চালাই।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, মানুষের সচেতন হতে হবে। খবর নিয়ে জানতে পারলাম–বিশেষ করে জোয়ারের সময় মোটরসাইকেল আরোহীরা ওয়াকওয়ে ব্যবহার করে থাকে। কালুরঘাট সেতুর কার্পেটিংয়ের কাজ প্রায় শেষ। সেতু খুলে দিলে এই সমস্যাটা আর হবে না।