আমি গভীর জীবনানন্দবোধ
অন্তরে দূরের শিখা হয়ে জেগে থাকে ধ্রুপদি অতীতশোভা
ভবিষ্যতের বিরাট বৃক্ষ শাখায়–শাখায় দোয়েলের মনোহর গান শুনি
অতীন্দ্রিয় অভিলাষে
পূর্বপুরুষের কীর্তিময় ভূর্জপত্রকথা পাঠ করি জলাঙ্গীর
ধারের জারুল ছায়াবনে বসে
আর এখনের এই আরশিতে দেখি শুধু জোটবদ্ধ
গণমুক্তির প্রখর কর্মসূচি
স্বৈরতন্ত্র আর লুটতরাজের সমূল উচ্ছেদে
অর্ধেকেরও বেশি ব্যয় করে আসা অবসরপ্রাপ্ত জীবনগুলোর
ঝুড়িতে হতাশা কেবল হতাশা
ভারালো পাথর হয়ে নামে জলধির তলে হেলেদুলে
আর দেখি কর্ণফুলি নদীর ওপর নয়া সেতুটার পাশে কংক্রিট–নির্মিত
প্রমোদের কুঁড়েঘরে বসে
চাঁদের শরাব পান করে বেতমিজ রাজনীতিকের ভয়াল উদর
দেখি দিঘল সংযুক্ত সড়কের আঁকাবাঁকা নামে
বিপুল–ব্যাপক মেমোতে নগদ
নারায়ণের দাঁতখিঁচোনো প্রাগৈতিহাসিক জন্তুু
হাসতে–হাসতে চলে উর্দিওলার কর্ডনে
ওই সুমন্ত অতীতভরা পূর্ববাংলার পরানকথা ভেবে–ভেবে
শ্রী ও কল্যাণনিষিদ্ধ এ বাংলাদেশের পথে রক্ত ঢেলে–ঢেলে
হাঁটিতেছি আমি একা …