বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক খবরই জানা ভুটান কোচ অতসুশি নাকামুরার। কদিন আগে সাফ অনূর্ধ্ব–২০ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে বাংলাদেশ। গত জুলাই–আগস্টের গণআন্দোলন সম্পর্কেও খোজখবর রেখেছেন তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ম্যাচের সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গগুলো টানলেন নাকামুরা। দলকে দিলেন জামাল–মিতুলদের বিপক্ষে ভয়ডরহীন ফুটবল খেলার বার্তা। থিম্পুর চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৬টায় প্রথম প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। আগামী রোববার দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ গড়াবে একই স্টেডিয়ামে। পরিসংখ্যানের পাতায় ভুটানের বিপক্ষে একচ্ছত্র আধিপত্য বাংলাদেশের। ১১ ম্যাচে জয় ৯টি, ড্র দুটি, হার মাত্র একটি। এই একটি হার চ্যাংলিমিথাংয়ের টার্ফে। স্বাগতিক অধিনায়ক নিমা ওয়াংদি ২০১৬ সালের পুনরাবৃত্তি করতে মুখিয়ে।
পরের বছর আমাদের এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই রয়েছে। এই ধরনের প্রীতি ম্যাচ আমাদের দলকে উজ্জ্বীবিত করবে। কোচও বলেছেন, আমাদের দলটা তরুণ। এই ম্যাচগুলোতে তারা আত্মবিশ্বাস শানিয়ে নেবে। এটা আমাদের ঘরের মাঠ। আমাদের এই সুযোগটা নিতে হবে। সুযোগ নিতে হলে মাঠে ভড়কে গেলে চলবে না। ভুটান কোচ নাকামুরার মনে হচ্ছে, সামপ্রতিক সময়ে নানা কারণে উজ্জীবিত থাকবে বাংলাদেশ। কাবরেরার দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে হলে লড়তে হবে চোখে চোখ রেখে। বাংলাদেশ খুব গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছে। অবশ্যই তারা কঠিন প্রতিপক্ষ। সবশেষ অনূর্ধ্ব–২০ সাফে তারা ভারতকে হারিয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতেও বিপ্লব হয়েছে, এটাও তাদের অনুপ্রাণিত করবে। তারা শক্তিশালী দল। কিন্তু এটা আমাদের ঘরের মাঠ। আমি ছেলেদের বলব বাংলাদেশকে ভয় না পেতে এবং তাদের চ্যালেঞ্জ জানাতে। ভুটানে এখন চলছে ফুটবল লিগ। তার মাঝপথে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে। দলের সব ফুটবলারই রয়েছে খেলার মধ্যে। আর সেটাই দলটির জন্য বাড়তি সুবিধা। ভুটানের কোচ বলেন আমরা জানি আমাদের কন্ডিশন বাংলাদেশের জন্য কঠিন হবে। কারণ তারা এত উচ্চতায় খেলতে অভ্যস্ত না। আর সে সুযোগটাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। তবে মাঠের লড়াইটাকে আসল মনে করেন ভুটান কোচ। মাঠে সেরাটা দিতে হবে বাংলাদেশকে হারাতে। তবে তার খেলোয়াড়দের নিয়ে তিনি বেশ আশাবাদি।