রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নের সোনাইছড়ি খালে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে উত্তর রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দাদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম পারুয়া ডিসি সড়ক, সোনাইছড়ি ব্রিজসহ স্থানীয় মসজিদ, ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি। দ্রুত পাড় রক্ষা বাঁধ স্থাপন করা না হলে এই মৌসুমেই বিলীন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক ও স্থাপনা। তাই দ্রুত খাল রক্ষা বাঁধ স্থাপনে সংশ্লিষ্টদের সহায়তা কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
এদিকে সোনাইছড়ি খালের ভাঙনের কবল থেকে সড়ক সংলগ্ন পূর্ব কোকানিয়া এজলাস ফকির জামে মসজিদসহ এলাকা রক্ষায় খালে জরুরি রক্ষা বাঁধ দিতে সরকারের পাশাপাশি দেশ বিদেশের বিত্তবানদের আর্থিক সহায়তা কামনা করেছেন এলাকার জনসাধারণ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মসজিদ পরিচালনা কমিটি মানবন্ধন করেছে। সরকার ও বিত্তবানদের দৃষ্টি কামনা করে মসজিদের সামনে সড়কে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা মুফতি আকতার হোসেন। মসজিদের ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন মসজিদ খতিব মাওলানা মুহাম্মদ মনির আহমদ, মাওলানা হোসেন আহমদ, দানু মিয়া, আব্দুর রহমান, আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুল বারেক, আবু তালেব, মুহাম্মদ ইউসুফ, হাফিজুর রহমান, এম এ জলিল প্রমুখ।
তারা জানান, এলাকার দরিদ্র জনসাধারণ খুব কষ্টে মসজিদটি নির্মাণ করে। ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মসজিদের ভেতর পানি প্রবেশ করেছিল। পানি নেমে যাওয়ার পর এখন তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। যেকোনো সময় মসজিদ, পারুয়া ডিসি সড়ক, মসজিদ সংলগ্ন সোনাইছড়ি ব্রিজ ভাঙনে বিলীন হয়ে উত্তর রাঙ্গুনিয়ার মানুষের যাতায়ত বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া ভাঙনে বিলীন হচ্ছে মধ্যম পারুয়া এলাকার ইউনুছ মেম্বার বাড়ি, জেবল হোসেন তালুকদার বাড়ি, আব্দুল হামিদ বাড়ি, ফজলুল রহমান বাড়িসহ অন্তত দুই কিলোমিটার অংশ। সরকারিভাবে খাল ভাঙা বন্ধে ব্লক স্থাপন জরুরি। এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে মসজিদ রক্ষায় বাঁধ দিতে ৪–৫ লাখ টাকা প্রয়োজন। এই টাকা জোগানে দেশ–বিদেশের বিত্তবানদের আর্থিক সহায়তার আহ্বান জানান বক্তারা।
খাল রক্ষা বাঁধ স্থাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাঙামাটি (পওর) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন, পারুয়ার অন্তত ৫টি স্পটে ভাঙন প্রতিরোধে ব্লক স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। কোকানিয়া এলাকায় সোনাইছড়ি খালের ভাঙনের স্থানটি সরেজমিনে গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।