শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষকদের পদত্যাগ করতে চাপ দেওয়া এবং হেনস্তা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক তথ্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার সময় এ কথা বলেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনও শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ ও নানাভাবে হেনস্তার ঘটনা ঘটছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কাজ থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। শিক্ষক ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে আইন অনুযায়ী তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে শিক্ষকদের পদত্যাগের ঘটনা ঘটছে। জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাদের পদত্যাগ দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক আদেশে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের প্রধান বা অন্য কর্মকর্তাদের বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে পদত্যাগ বা অপসারণের ঘটনা ঘটায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে অবহিত করার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করে পত্র জারি করা হয়। কিন্তু দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনও শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ ও নানাভাবে হেনস্থা করার ঘটনা ঘটছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এ বিষয়ে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এ ধরনের কাজ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
উপসচিব সাইফুর রহমান খান স্বাক্ষরিত ওই আদেশে বলা হয়, যেসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অপকর্মের অভিযোগ আছে, তা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা।