চট্টগ্রামের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, আন্দোলন, সংগ্রামে যে নামটি আষ্টে-পৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে সেটি হল দৈনিক আজাদী।
চট্টগ্রামের অনেক মানুষ সকালের চায়ের সাথে যদি আজাদীতে চোখ না ভুলায় তাইলে তার সকালের শুরুটা অসম্পূর্ণ থেকে যায় বলে মনে করে। দীর্ঘ ৬৫ বছর ধরে আজাদীর বর্ণাঢ্য পথচলার গৌরবময় ইতিহাস। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম যে দৈনিকটি প্রকাশিত হয় সেটি হল দৈনিক আজাদী।
এটি নিয়ে বাংলাদেশের মধ্যে আমরা চট্টগ্রামের মানুষ সব সময় গর্ব অনুভব করি। আজকের দিনের যিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান নোবেল লরিয়েট ডঃ ইউনুস যেদিন নোবেল পুরস্কার পান তার পরের দিন এই পত্রিকার শিরোনাম হয় “আরর চাটগাইয়া পোয়া নোবেল পাইয়ে”।
এভাবে বিভিন্ন সময় চট্টগ্রামের স্থানীয় ভাষায় সাহসী ক্যাপশন দিয়ে সারা বাংলাদেশে নজর কেড়েছে এই পত্রিকা। এটি আঞ্চলিকতার গণ্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশে চট্টগ্রামের পরিচিতি বৃদ্ধি করেছে, বইয়ে এনেছে সম্মান।
শ্রদ্ধেয় ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক এর হাত ধরে যে পত্রিকার যাত্রা পরবর্তীতে পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ এবং আজকের দিনে পত্রিকার সম্পাদক এম এ মালেক ও নির্বাহী সম্পাদক ওয়াহিদ মালেকের নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে প্রকাশকাল থেকে যারা আজাদী পত্রিকার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রয়াত সাংবাদিকসহ সকল স্তরের কর্মকর্তা–কর্মচারীর স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
বর্তমানে যারা এ পত্রিকার বিভিন্ন পর্যায়ে যুক্ত আছেন তাদের শুভেচ্ছা, তারা সৌভাগ্যবান, তারা এমন একটি পত্রিকার সাথে যুক্ত যেটি গর্বের সাথে দাবি করতে পারে এটি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দৈনিক। আজকের দিনে প্রতিদিন সকালে যারা সাইকেলে কিংবা পদব্রজে মানুষের বাসায় বাসায় পত্রিকা পৌঁছে দেয় সেই সকল হকারদের প্রতি শ্রদ্ধা রাখছি।
দীর্ঘদিনের পরিক্রমায় সমৃদ্ধ হয়েছে দৈনিক আজাদী। তাই আজাদী অনলাইনও হাটি হাটি পা পা করে এগিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের সমস্যা এবং সংকটে ভূমিকা রাখে আজাদী।
সম্প্রতি বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ বিতরণ এবং এতে গণ মানুষকে সংযুক্ত করা তার একটি নমুনা মাত্র। আমরা যারা আজাদীর পাঠক আমরা চাইবো আজাদী তার ঐতিহ্য সমুন্নত রাখুক। আজাদী এগিয়ে যাক সামনের পানে, পাঠকের ভালোবাসায় পাঠকের হৃদয়ের মনিকোঠায় থেকে। আজাদীর জন্য শুভকামনা
লেখক- আমিনুল হক বাবু
মানবাধিকার কর্মী