দাম্ভিকতা ও লুটপাটের কারণেই আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে

মহানগর বিএনপির দোয়া মাহফিলে মীর হেলাল

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৭:২৫ পূর্বাহ্ণ

শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ গণ ধিকৃত দলে পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দাম্ভিকতা, দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণেই তাদের পতন হয়েছে। আজকে আওয়ামী লীগ জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাই আমাদেরকে জনগণের মন জয় করে চলতে হবে। স্বৈরাচারী হাসিনার পতনে প্রথমিক বিজয় অর্জন হলেও পরিপূর্ণ বিজয়ের জন্য নির্বাচনে জনগণের সমর্থনে সফল হতে হবে।

তিনি গতকাল বাদ আসর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে বিগত ১৫ বছরে আন্দোলন সংগ্রামে নিহত ও সামপ্রতিক বন্যায় নিহতদের রুহের মাগফেরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন। মোনাজাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর রুহে মাগফেরাত কামনা করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা এহসানুল হক। এতে বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।

মীর হেলাল আরো বলেন, দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর ধরে বিএনপির আন্দোলন দমন করতে গিয়ে পতিত হাসিনা সরকার হত্যা ও নৈরাজ্যের পথ বেছে নিয়েছিল। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের নামিয়ে দিয়ে সমগ্র দেশকে রণক্ষেত্রে পরিণত করেছিল। কিন্তু ছাত্রজনতার দুর্বার প্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালাতে বাধ্য হয়েছে।

এরশাদ উল্লাহ বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত দেশে গণতন্ত্র এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলনসংগ্রামে দেশ এবং জনগণের স্বার্থ সমুন্নত রেখেছে। এ কারণেই শত প্রতিকূল পরিস্থিতি পেরিয়েও দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের কাছে বিএনপি সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। তবে দেশ বর্তমানে ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগস্ট দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। তবে গণঅভুত্থানের সাফল্য নস্যাৎ করে দিতে স্বৈরাচারের দোসররা এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

নাজিমুর রহমান বলেন, দীর্ঘ দিনের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে মুক্ত নিঃশ্বাস নেয়ার পরিবেশ। ছাত্রজনতার দুর্বার আন্দোলনে দেশ আজ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের সাহস ও দৃঢ়তায় গণমানুষের প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তাই ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে অর্জিত বিজয়কে সংহত করে দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। শান্তির সমাজ গড়তে বিএনপি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

দোয়া মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনবিএনপি নেতা এস কে খোদা তোতন, হারুন জামান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দার মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, মো. কামরুল ইসলাম, মন্‌জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মো. আজম, আবদুস সাত্তার সেলিম, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, মনির আহম্মেদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, নুরুল্লাহ বাহার, কামাল পাশা নিজামী, এম এ মুছা বাবলু, মামুনুর রশিদ শিপন, মনিরুজ্জামান টিটু, নুরুল হক ও অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা এগিয়ে যাব
পরবর্তী নিবন্ধদণ্ডপ্রাপ্ত সেই ৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করলো আমিরাত