ফটিকছড়ি ও রাউজান উপজেলা থেকে দুটি অজগর উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ফটিকছড়ির নাজিরহাট পৌরসভা ও রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী এলাকা থেকে সাপ দুটি উদ্ধার করে ওয়াইল্ড লাইফ এন্ড স্নেক রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশ।
ফটিকছড়ি প্রতিনিধি জানান, দুই দিনের ব্যবধানে আরো একটি অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড কুম্ভারপাড়াস্থ আনওয়ারুল উলুম মাদ্রাসা সংলগ্ন ইউছুপের বাউন্ডারি ওয়াল থেকে সাপটি উদ্ধার করে স্থানীয়রা। মো. ইউছুপ জানান, সাপটি আমাদের ঘরের বাউন্ডারি ওয়ালের একটি জালে আটকে ছিল। মাদ্রাসার হুজুররা দেখতে পেলে সবাই মিলে উদ্ধার করে সাপটি। পরবর্তীতে একটি সাপ ধরা সংস্থাকে জানানো হলে তাদের সদস্যরা এসে সাপটি নিয়ে যায়। সাপটি তারা বনে অবমুক্ত করবেন বলে জানান। সাপটি উদ্ধার করেন ওয়াইল্ড লাইফ এ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশ এর চট্টগ্রাম জেলার উদ্ধারকর্মী রেজাউল করিম রাকিব। তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমি সাপটি উদ্ধার করতে আসছি। সাপটি রিজার্ভ ফরেস্টের আওতাভুক্ত কোন স্থানে ছেড়ে দেব। সাপটি সেখানে নিজের মতো করে থাকতে পারবে। গত ১ সেপ্টেম্বর উপজেলার সুয়াবিল ইউনিয়নের পশ্চিম সুয়াবিল শোভনছড়ি রাজার বাজার সংলগ্ন বারমাসিয়া চা বাগান এলাকা থেকে ১৩ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি অজগর সাপ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। স্থানীয় বাসিন্দা মো. রাসেদ জানান, স্থানীয় কয়েকজন কৃষক খালের পাড়ে ঘাস কাটার সময় অজগরটি দেখতে পান। এসময় সাপটির পেটভর্তি বড় দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, সাপটি ছাগল খেয়েছে। ইউপি সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আশপাশের পাহাড় থেকে অজগর সাপটি নেমে আসতে পারে। শোভনছড়ি বন বিভাগকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে সাপটি বনে অবমুক্ত করার জন্য নিয়ে যায়। এদিকে রাউজান প্রতিনিধি জানান, গতকাল উপজেলার পাহাড়তলী ঊনসত্তর পাড়ার লোকালয়ে নেমে আসা একটি অজগর ধরে ওয়াইল্ড লাইফ এন্ড স্নেক রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশ এর দুই সদস্য মো. মাকসুদুর রহমান ও মাহফুজুর রহমানের কাছে দেয়া হয়েছে। গতকাল সকালে স্থানীয় গৌরসঙ্কর হাটে ব্যবসায়ী ইসহাক সওদাগরের দোকানের ভেতর থেকে অজগরটি উদ্ধার করা হয়। সাপটি ধরার পর রাউজান বন বিভাগে যোগাযোগ করলে তাদের কোন সহযোগিতা না পেয়ে ওয়াইল্ড লাইফ এন্ড স্নেক রেসকিউ টিমে খবর দিলে তারা উপস্থিত হলে তাদের হাতে সাপটি হস্তান্তর করা হয়। অজগরটির ওজন প্রায় ১২ কেজি ও দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ৯ ফুট বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।