কক্সবাজার নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের শিক্ষার্থীরা ফ্যাকাল্টির পুরো কমিটির পদত্যাগ চেয়ে একদফা দাবি উপস্থাপন করে। দাবি না মেনে উল্টো নারী শিক্ষার্থীদের উপর ছেলে শিক্ষার্থীরা অতর্কিত হামলা করেছে–এমন অভিযোগ এনে প্রায় ৮ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় ৫ শিক্ষিকা এবং ১১ ছাত্রকে। পরে মধ্যরাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দুই আবাসিক মেডিকেল অফিসার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, র্যাব এসে প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক শেষে সকল শিক্ষক পদত্যাগ করেন। এ কারণে শিক্ষক শূন্য হয়ে গেল কলেজটি।
গত রোববার বিকেল থেকে এক দফা আন্দোলন শুরু করে নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৩টা থেকে ৫ শিক্ষিকা এবং ১১ ছাত্রকে আটকে রাখা হয়। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পদত্যাগ করে কলেজ থেকে বেরিয়ে যান শিক্ষিকারা। পুরো বিষয়টিতে আলোচনার জন্য সমন্বয় করেন কঙবাজার সদর হাসপাতালের দুই আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জিআরএম জিহাদুল ইসলাম এবং ডা. আশিকুর রহমান।
জিহাদুল ইসলাম বলেন, কয়েক ঘণ্টা বৈঠকে বারবার সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি শিক্ষকরা মেনে নিয়েছে। তাদের দাবি অনুযায়ী পদত্যাগ করেছে সকল শিক্ষক। এখন কলেজটি শিক্ষক শূন্য হয়ে গেছে। কীভাবে এই সংকট দূর করা যাবে সেটি ডিজিএমএন দেখবে। সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, এডিম তারা চিঠি লিখবেন।
এদিকে দাবি মেনে নেওয়ায় সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন সমন্বয়কারী উর্মী আক্তার বলেন, আমরা দুর্নীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়েছিলাম। যেহেতু দুর্নীতিতে পুরো ফ্যাকাল্টি জড়িত ছিল তাই তাদের পদত্যাগ চেয়েছি। আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে এতে আমরা সন্তুষ্ট। কিন্তু আমাদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। কলেজ এখন শিক্ষকশূন্য হয়ে গেলো। তাই আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক।