চট্টগ্রাম, ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার সৃষ্ট বন্যার কবলে পড়া বানবাসীর ব্যাপক চাহিদাকে পুঁজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী যেখানে চিড়া মুড়িসহ বিভিন্ন শুকনো খাবার প্রয়োজনীয় সামগ্রীর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিত করছিল, সেখানে ব্যতিক্রম দৃশ্য দেখা গেছে চট্টগ্রাম নগরীর বক্সিরহাট ভারত নন্দী স্টোরে। চিড়া মুড়িসহ বন্যার্তদের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম না বাড়িয়ে ন্যায্য মুল্য খাবার সামগ্রী বিক্রিতে সোচ্চার ছিলেন ভারত নন্দী স্টোরের কর্তৃপক্ষ।
গত ২৭ আগষ্ট মঙ্গলবার বন্যার্তদের শুকনো খাবারসহ বিভিন্ন সামগ্রীর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের রুখে দিতে চট্টগ্রাম নগরীর বক্সিরহাট বাজারের অভিযান চালিয়ে দাম বৃদ্ধি করাসহ নানা অভিযোগে ৪টি পাইকারী খুচরা দোকানকে ২৭ হাজার টাকা জরিমান করেছিল জাতীয় ভোক্তাধিকার চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়। কিন্তু অভিযানে ভারত নন্দী স্টোর নামে ঐ চিড়া মুড়ির দোকানের বিপরীত চিত্র দেখতে পায় ভোক্তাধিকার। কোন কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না করে বন্যার্তদের জন্য ন্যায্য মূল্যে পণ্য সামগ্রী সরবরাহ করায় ভারত নন্দী স্টোরের কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করেন ভোক্তাধিকারের কর্মকর্তারা।
তবে ঐদিনের ভোক্তাধিকারের অভিযানে খবরটি “চিড়া মুড়ি কেজি প্রতি ১৫ বৃদ্ধি ভোক্তাধিকারের অভিযানে ধরা” শিরোনামে দৈনিক আজাদীর অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত হয়। কিন্তু ঐ নিউজে ভুলবশত “ভারত নন্দী ষ্টোরের” ছবি প্রকাশিত হয়।
এব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক ফয়েজ উল্যাহ জানান, গত ২৭ আগস্টের ভোক্তাধিকারের অভিযানে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৪টি দোকানকে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু ভারত নন্দী স্টোর নামে ঐ চিড়া মুড়ির দোকান কর্তৃপক্ষ কোন কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না করে বন্যার্তদের জন্য ন্যায্য মূল্যে পণ্য সামগ্রী সরবরাহ করেছিলেন।