লিবিয়ার দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে সক্রিয় একটি মানব পাচার চক্র ভেঙে দিয়ে এর সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার নিজেদের ফেইসবুক পেইজে দেওয়া এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ ওই চক্রের একজন নেতা ও ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। খবর বিডিনিউজের। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে খুন, অবৈধভাবে আটকে রাখা, নির্যাতন, অভিবাসন প্রত্যাশীদের ধর্ষণ, মুক্তিপণ আদায়ের মতো বহু অভিযোগ আছে। রয়টার্স জানায়, তদন্তে চক্রটির দ্বারা ১৩০০ অভিবাসন প্রত্যাশীর অধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ২০১১ সালে নেটোর সমর্থনে সংঘটিত এক অভ্যুত্থানে লিবিয়ার তৎকালীন নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হন। তারপর থেকে দেশটিতে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সমর্থন নিয়ে দু’টি প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার তেল সমৃদ্ধ দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য দ্বন্দ্বে লিপ্ত আছে।
এই সুযোগে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিরা উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। অপরদিকে মানব পাচারকারীরা কোনো শাস্তির তোয়াক্কা না করে ২০১৪ সাল থেকে সাগর পথে ইউরোপে, প্রধান ইতালিতে লাখ লাখ অভিবাসন প্রত্যাশীকে পাঠিয়েছে। ভূমধ্যসাগরের সাগরের বিপজ্জনক এই জলপথ পাড়ি দেওয়ার সময় হাজার হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী ডুবে মারা গেছেন।