লোহাগাড়ার আমিরাবাদে গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা অজ্ঞাত যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত যুবক মো. ইসমাইল আজাদ (৪২) চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানার ফুলছড়ি পাড়ার মৃত রহিম বক্সের পুত্র ও ২ কন্যা সন্তানের জনক। পেশায় টমটম চালক। তবে তিনি বায়েজিদ বোস্তামী থানার বালুছড়া এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতেন।
নিহতের ভাই নজরুল ইসলাম জানান, গত ১৩ জুন ইসমাইল আজাদ বালুছড়ার শ্বশুর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। গত ২০ জুন তার নিখোঁজের ব্যাপারে বায়েজিত বোস্তামী থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন।
গত ৩০ জুন দৈনিক আজাদীতে তার নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিও ছাপানো হয়েছে। গত ২৬ আগস্ট দিনগত রাত ২টার দিকে দীর্ঘদিন পর হঠাৎ নিউ মুরিং লেবার কলোনী এলাকায় তার বোনের বাসায় ফেরেন নিখোঁজ ইসমাইল আজাদ। এই সময় তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় দেখা যায়। পরদিন সেখান থেকে স্বজনরা তাকে বালুছড়ার শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর গত শনিবার (৩১ আগস্ট) স্বজনরা তাকে মানসিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত হয়। এই সময় তিনি বাসার ভেতরে স্বজনদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। গত শুক্রবার (৩০ আগস্ট) জুমার নামাজ আদায় করতে যাবার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি আবারো নিখোঁজ হয়ে যান।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম জানান, অজ্ঞাত যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে পিবিআই’র বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এরপর পূর্বে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ দাফনের জন্য আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের খালেকের দোকান সংলগ্ন এলাকায় একটি কাঠবাদাম গাছের ডালে অজ্ঞাত এক যুবককে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে থানা পুলিশ ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে।