সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও আগামী বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমরাও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয়ের বক্তব্য থেকে বিষয়টি জেনেছি। বিভিন্ন মিডিয়ায়ও দেখেছি আগামী ৪ তারিখ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু হবে। সিএমপিও ঊধ্বর্তন কতৃপক্ষের নির্দেশ মতে অভিযান শুরু করবে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরে সিএমপির বিভিন্ন থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসব ঘটনার সময় থানায় সংরক্ষিত বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে নিয়ে যায় আক্রমণকারীরা।
এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয় কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ। তবে সে সংখ্যাটা খুবই নগণ্য। আরও বহু অস্ত্র বাইরে রয়ে গেছে। সেসব অস্ত্র এবং আগে থেকে অনেকের কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করবে।
এ বিষয়ে সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস সূত্রে জানায়, ‘নির্দেশনা অনুযায়ী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব অস্ত্র জমা দিতে হবে। এরপর কারও কাছে কোনো অস্ত্র থাকলে সেটা অবৈধ বলে গণ্য হবে। নির্দিষ্ট সময়ের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব ধরনের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান শুরু করবে।’
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন থানা থেকে ৫০০টি অস্ত্র এবং ১২ হাজারের মতো গোলাবারুদ লুট হয়। এখনও উদ্ধার হয়নি ২২০টির মতো অস্ত্র। অস্ত্র-গুলি এবং যানবাহন ছাড়াও থানা ভবনের অবকাঠামো পুড়ে কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যা পূরণ হতে সময় লাগবে।
র্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উল আলম বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরীতে থানা-ফাঁড়ি থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করছে র্যাব। ইতোমধ্যে ৩৮টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র এবং ২৯৭ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করে সিএমপিতে জমা দেওয়া হয়েছে। অভিযান অব্যাহত আছে।’