লক্ষ্য অর্জন অতীতের চেয়ে অনেক কঠিন হবে : তারেক রহমান

| রবিবার , ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ১০:২১ পূর্বাহ্ণ

জনগণের আস্থা অর্জনে দলীয় নেতাকর্মীদের আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের মানুষকে রক্ষার দায়িত্ব বিএনপির। তাই দলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করুন। যে জনগণ আপনাদের পক্ষে রায় দেয়। ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়া সহজ হবে না বরং আমাদের লক্ষ্য অর্জন অতীতের চেয়ে অনেক কঠিন হবে। তাই দলের নেতাকর্মীদের অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে কাজ করতে হবে।

গতকাল শনিবার বিকাল ৪টায় ময়মনসিংহ নগরীর টাউন হল অডিটরিয়ামে দক্ষিণ, উত্তর ও মহানগর বিএনপির নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বিডিনিউজের।

৫ আগস্টের পর জনগণের চিন্তাধারায় পরিবর্তন ঘটেছে, বিএনপিকেও মানুষের এই চিন্তাধারার সঙ্গে পরিবর্তিত হতে হবে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, মনে রাখতে হবে, বিএনপি বিরোধী দলে ছিল, এখনও বিরোধী দলে আছে। যতক্ষণ জনগণ আমাদের পক্ষে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ না করবে। তাই জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য দলের নেতাকর্মীদের কথাবার্তা ও কাজকর্মে সর্তক হতে হবে।

তিনি বলেন, অনেকেই ভাবছেন, স্বৈরাচার পতনের পর মাঠে তাদের আর কোনো অবস্থান নেই। এরকম ভাবসাব অনেকের মধ্যে দেখা যায়। যার পতন হয়েছে তারা ছিল আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। আজ তারা হয়ত দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু এতে আমাদের জন্য পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে। কারণ আগে আমাদের প্রতিপক্ষ ছিল দৃশ্যমান। এখন আমাদের প্রতিপক্ষ অদৃশ্য। তারা আপনাকে এবং দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাদের বিষয়ে সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় সর্তক থেকে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিএনপির বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে অভিযোগ করে তারেক রহমান বলেন, আমাদের দলের বিরুদ্ধে ভিন্ন উপায়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমাদের কাউকে কাউকে প্রতারিত করে এবং দলে অনুপ্রবেশ করে ভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। দেশবিদেশে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। তাই অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন সবাইকে আরও বেশি সজাগ থাকতে হবে এবং কঠোর হতে হবে। তিনি বলেন, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে আমাদের মধ্যে অনেকেই ভুল করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দল পিছপা হয়নি। আমরা সরকারে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতাম।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আফজাল এইচ খান, সহসাংগঠনিক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ, ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এ কে এম শফিকুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহাবুবুর রহমান লিটন, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, সাবেক সংসদ সদস্য শাহ নূরুল কবীর শাহীন, আবু রেজা ফজলুল হক বাবলু, আবুল বাশার আকন্দ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, দক্ষিণ জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী রানা, শাহ শিব্বির আহম্মেদ বুলু, এ কে এম মাহাবুবুল আলম, শামীম আজাদ, ফারজানা রহমান হুসনা, লিটন আকন্দ, এম এ হান্নান খান, কায়কোবাদ মামুন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফকরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চু, আকতারুজ্জামান বাচ্চু, আকতারুল আলম ফারুক, ফাত্তাহ খান ও আবুল হোসেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখুঁটিতে বেঁধে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত ৬০৫ কিলোমিটার সড়ক