জামায়াতের নিবন্ধন : আপিল পুনরুজ্জীবনের আবেদন আজ

| রবিবার , ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ১০:১০ পূর্বাহ্ণ

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবনের আবেদন করবে জামায়াতে ইসলামী। আজ রোববার এ আবেদন করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। খবর বিডিনিউজের।

জামায়াতকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে তরীকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে একটি রিট আবেদন করেন। ২০১৩ সালের ১ অগাস্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজাউল হকের বেঞ্চ ওই রিটের রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে। ওই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন ওই বছরের ৫ অগাস্ট খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। আপিল শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চ ওই আপিল খারিজ করে দেয়।

গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পাল্টে গেছে পুরো পরিস্থিতিই। গত ১ অগাস্ট দলটিতে ‘সন্ত্রাসী সত্তা’ আখ্যা দিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু তুমুল গণ আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে চলে গেলে জামায়াত প্রকাশ্যে চলে আসে। সেদিনই আওয়ামী লীগবিরোধী অন্যান্য দলের সঙ্গে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারউজজামানের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। পরে তিনি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গেও বৈঠকে যান। জামায়াত ও তার সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধের ২৮ দিনের মাথায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার সেটি প্রত্যাহার করে নেয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএস আলম গ্রুপের সঙ্গে ন্যূনতম সংশ্লিষ্টতা নেই
পরবর্তী নিবন্ধ৩৭ হাজার বন্যার্তের মাঝে কেডিএস গ্রুপের ত্রাণ বিতরণ