যারা হত্যার রাজনীতি করেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে: জেলা জামায়াত সেক্রেটারী

সাতকানিয়া-লোহাগাড়া প্রতিনিধি | শুক্রবার , ৩০ আগস্ট, ২০২৪ at ২:৩০ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারী মাওলানা মুহাম্মদ বদরুল হক বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ যাঁরা হত্যার রাজনীতি করে ছাত্র জনতার বুকের তাজা রক্ত ঝরিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যাকারীরা যেখানেই থাকুকনা কেন অতি দ্রুত তাঁদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বড়হাতিয়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি আরও বলেন, ছাত্ররা দাবি জানিয়েছিলো কোটা সংশোধনের, যাতে কোটা পদ্ধতি এবং প্রশ্ন ফাঁসের বাইরে যে মেধাবী শিক্ষার্থীরা আছে তাঁরা যেন দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে। শিক্ষার্থীরা যখন এই দাবী তুলল তখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন কোটা কি মুক্তিযোদ্ধাদের না দিয়ে রাজাকারের বাচ্চাদের দিবো? শেখ হাসিনা যেভাবে জাতির সূর্যসন্তানদের রাজাকার তকমা দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিলো ঠিক তেমনি ভাবে শিক্ষার্থীদেরও দমিয়ে রাখতে চেয়েছিলো। তখন সারা দেশের ছাত্ররা সগৌরবে শ্লোগান ধরল তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার, কে বলেছে কে বলেছে স্বৈরাচার স্বৈরাচার।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারী আরও বলেন, ছাত্রদের যৌক্তিক দাবী মেনে না নিয়ে খুনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্রদের উপর আনসার, পুলিশ ও বিজিবির মাধ্যমে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে। খুনি হাসিনা মনে করেছিলো পিলখানায় সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার পর, হেফাজতে ইসলামের উলামায়ে কেরামদের হত্যার পরে অতীতে যেভাবে পার পেয়ে গেছে ছাত্রদেরও সেভাবে হত্যা করে পার পেয়ে যাবে। কিন্তু সন্তান হারা পিতামাতা, ভাই হারা বোন, ছাত্র-শিক্ষক সহ সর্বস্তরের স্বাধীনতাকামী মানুষ রাস্তায় নেমে এসে সেই স্বৈরাচারকে বিদায় করেছে।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর মজলিসে শুরা সদস্য ড. মাওলানা হেলাল উদ্দীন মুহাম্মদ নোমান। জামায়াতে ইসলামী লোহাগাড়া উপজেলা আমীর অধ্যাপক আসাদুল্লাহ ইসলামাবাদী।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বড়হাতিয়া ইউনিয়ন সেক্রেটারী মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামী পাঁচলাইশ থানার শুলকবহর ওয়ার্ড এর দায়িত্বশীল নেতা মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম, জামায়াতে ইসলামী কোতোয়ালী থানার বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ফেরদৌস, জামায়াতে ইসলামী কোতোয়ালী থানা শাখার সেক্রেটারি মুস্তাক আহমদ, শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন বড়হাতিয়া ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ নাছির উদ্দীন, বড় হাতিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুল হাকিম, বড় হাতিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের নায়েবে আমীর মুহাম্মদ জালাল উদ্দীন, বড়হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জুনাইদ চৌধুরী, শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন লোহাগাড়া উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ ইউসুফ, ইসলামী ছাত্রশিবির বড় হাতিয়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ মনছুরসহ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ও অঙ্গ সংগঠনের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড এর দায়িত্বশীল নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়ির ফেনী নদীতে নিখোঁজ দুই কিশোর ১৮ ঘন্টা পরও উদ্ধার হয়নি
পরবর্তী নিবন্ধপ্রকাশিত সংবাদের প্রসঙ্গে