৮ বছর আগে নগরীর হালিশহরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন অনুষ্ঠানে ভাঙচুর, মারধর ও থানায় নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক ব্যক্তি। এতে অজ্ঞাত আরো চারশজনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাউদ্দিনের আদালতে মো. মামুন আলী প্রকাশ কিং আলী নামের এক ব্যক্তি দন্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। শুনানি শেষে বিচারক তদন্ত করে থানা পুলিশকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। এর আগে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে আদেশ দিলে আদালত কক্ষে হট্টগোল হয়।
বাদীর আইনজীবী আরশাদুর রহমান বলেন, মামলার আবেদন করা হলে বিচারক সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে তদন্ত করে এজাহার হিসেবে অভিযোগ গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আসামিদের মধ্যে সাবেক সেতু ও পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক, সাবেক নগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার, নগর গোয়েন্দা অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার তানভীর আরাফাত, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, রেহানার ছেলে রিদওয়ান ববি, মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও হালিশহর থানার সাবেক ওসি প্রণব কুমার চৌধুরীও আছেন।
মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট হালিশহরের বারুনীঘাট এলাকায় বাদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কে এ জি এন্টারপ্রাইজের অফিসে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর করে লাঠিচার্জ করা হয়। অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে বাদীসহ ১৭ জনকে মারধর করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও তাদের মারধর করা হয়। ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয় বলে বাদী উল্লেখ করেন, অপরাগতা প্রকাশ করলে লাথি মারা হয়। ওসি প্রণব চৌধুরী তার মুঠোফোনে আসামি শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে ভিডিও কল দিয়ে বাদীকে নির্যাতনের চিত্র দেখান। সেই ভিডিও কলে তাকে হুমকি দেওয়া হয়।