চট্টগ্রামের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও রাউজানের সাবেক এমপি এবিএম ফজলুল কাদের চৌধুরীসহ ২৬৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) রাতে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি দায়ের করেন নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার ছিদ্দিক নগরের মৃত রমজান আলীর ছেলে মো. দুলাল (৫৬)। বর্তমানে যিনি নগরীর খুলশী থানাধীন লালখান বাজারে বসবাস করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আখতারউজ্জামান। যার থানা মামলা নম্বর-৩১। মামলাটি তদন্ত করবেন সংশ্লিষ্ট থানার এসআই মো. এনামুল হক।
মামলার অপরাধ বিবরণীতে জানানো হয়, পরস্পরের যোগসাজশে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা হাঙ্গামায় গুলি করে খুনসহ নির্দেশনা প্রদান করে বোমা বিস্ফোরণের মতো অপরাধ ঘটিয়েছেন।
এতে মামলার আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন—চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, মাহবুবুল হক সুমন, দিদারুল আলম, হাসান মুরাদ বিপ্লব, এসরুল হক, দেবাশীষ নাথ দেবু, আসাদুল আলম বাচ্চু, নুরুল আজিম রনি, জহুর লাল হাজারী, পুলক খাস্তগীর, মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ, নুর মোস্তফা টিনুসহ ২৬৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে মামলার বাদি মো. দুলালকে একাধিকবার কল করেও মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
তবে পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত দোকান কর্মচারী ফারুকের বাবা বাদী হয়ে এই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।