চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং মডেল থানাধীন দেওয়ানহাট মোড়ের বিপরীতে সেগুন বাগানে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধাবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মো. আনোয়ার হোসেন (২৩) নামে এক যুবককে আসামি করে মামলাটি (১২/১৬৩) দায়ের করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডবলমুরিং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের পাটোয়ারী। একই থানার এসআই নয়ন চন্দ্র দাশকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আসামি মো. আনোয়ার ভূজপুর থানার পশ্চিম বড় বেতুয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে। বর্তমানে খুলশী সেগুনবাগানের এক ভাড়া বাসায় থাকেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কিশোরী নগরীর দেওয়ানহাট মোড়ের একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করেন। গার্মেন্টেসে আসা-যাওয়ার পথে আসামি আনোয়ারের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয় সুবাধে সে কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে তার সাথে ঘুরতে যাওয়ার জন্য প্রস্তাব দেন।
গত ১১ আগস্ট দুপুরে কিশোরীকে ফুসলিয়ে অটোরিক্সা করে ডবলমুরিং ও খুলশী থানাধীন সীমারেখায় সেগুন বাগান এলাকায় এক সেমি-পাকা ঘরের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে জোরপূর্বক ভিকটিমকে ধর্ষণ করেন। পরে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে ঐদিন রাত সাড়ে ১২টার সময় গ্রামের বাড়ি ভূজপুরে নিয়ে যান।
পরদিন সকালে আসামি ভিকটিমকে সাথে নিয়ে চট্টগ্রামের কোর্ট বিল্ডিংয়ে নিয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করে পুনরায় তার স্থায়ী ঠিকানার বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে নানা কৌশলে আটকে রাখেন দিনের পর দিন। এ সময় কিশোরীর পরিবারের কারো সাথে তাঁকে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি।
পরে গত ২৬ আগস্ট দুপুরে পরিবারের লোকজনের তৎপরতায় খুলশী থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেগুন বাগান গুলজার বাবুর ভাড়াঘর থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডবলমুরিং মডেল থানায় নিয়ে যান।
এ প্রসঙ্গে সিএমপির ডবলমুরিং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের পাটোয়ারী বলেন, ‘কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’