জোরারগঞ্জের মরগাং গ্রামে তরুণীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার দায়ে চার যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত চারজন হলেন মো. নাজমুল, মো. রিয়াজ, মো. দুলাল ও জামশেদ। গতকাল চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি মো. নাজমুল, মো. রিয়াজ ও জামশেদ কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। অপরজন মো. দুলাল পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের পিপি এম এ নাসের চৌধুরী আজাদীকে বলেন, ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে বিচারক চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
ট্রাইব্যুনালসূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ২ অগাস্ট রাতে ঘরে ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণ করে আসামি মো. নাজমুল। তাকে সহযোগিতা করেন আসামি মো. রিয়াজ, মো. দুলাল ও জামশেদ। এ ঘটনায় তরুণীর বাবা জোরারগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার এজহারে বলা হয়, আসামিরা সকলে ভিকটিমের প্রতিবেশী। ট্রাইব্যুনালসূত্র আরো জানায়, তদন্ত শেষে পরের বছরের ১৬ জুন চার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।