রাঙামাটির কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট ১৮ ইঞ্চি অর্থাৎ দেড় ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে। গত রোববার সকাল ৮টা থেকে ৬ ইঞ্চি করে জলকপাট খুলে দেওয়া হয় কাপ্তাই বাঁধের।
কর্ণফুলী নদীতে পানি নিষ্কাশনের পরও হ্রদে পানিপ্রবাহ বাড়ায় মঙ্গলবার সকাল ও দুপুরে দুই ধাপে আরও ১২ ইঞ্চি খুলে দেয়া হয়। এতে করে রোববারের থেকে তিন গুন পানি ছাড়া হচ্ছে কাপ্তাই বাঁধ দিয়ে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, কাপ্তাই হ্রদে পানিপ্রবাহ বাড়ায় দুপুর থেকে দেড় ফুট (১৮ ইঞ্চি) করে ১৬টি স্প্রিলওয়ে খুলে দেয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৩০ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নির্গম হচ্ছে।
রাঙামাটির জেলাপ্রশাসক এবং কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন খান বলেন, কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়ায় দুপুর থেকে দেড় ফুট করে জলকপাটগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। রাঙামাটি শহরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। রাঙামাটি বৃষ্টিপাত থামলেও উজানের পানি নামায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে প্রতি সেকেন্ডে ৩২-৩৩ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলীতে নির্গত। এতে করে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৬২-৬৩ হাজার কিউসেক পানি নির্গত হচ্ছে কর্ণফুলী নদীতে। কর্ণফুলী অববাহিকায় কাপ্তাই হ্রদের এই পানির শেষ গন্তব্য বঙ্গোপসাগর।