খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন : খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার জেলার ৯ উপজেলায় একযোগে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়। বন্যা কবলিত এলাকায় এর আগে শুকনা খাবার ও জরুরী খাদ্য সহায়তা দিয়েছিল প্রশাসন। সামপ্রতিক বন্যায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, জেলা সদর, মহালছড়ি, মাটিরাঙাসহ ৯ উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি দীঘিনালায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পরিবার। খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো.সহিদুজ্জামান বলেন, গতকাল সোমবার জেলায় বিতরণ হয়েছে ৬৩ মেট্রিক টন চাল। এ সময় ৬ হাজার ৩ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবক দল ,নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম : ফেনী জেলার বন্যাদুর্গত এলাকা মুন্সির হাট– ফাজিলপুর– ছনুয়া–নতুন বাজার–শিবপুরের পার্শ্ববর্তী লস্কর হাটে অন্তত ২ হাজারেরও বেশি পানিবন্দি বানবাসিদের মাঝে আড়াই হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার, শিশুদের ওষুধ সামগ্রী খাবার স্যালাইন ও কাপড়ছোপর পৌঁছে দিয়েছেন চট্টগ্রামের স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের নেতৃবৃন্দ। নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম চট্টগ্রামের দাপ্তরিক দায়িত্বপ্রাপ্ত সাজ্জাদ হোসেন খাঁন, মেজবা উল ইসলাম নোমান, এম. আফসার হক, মোহাম্মদ সজিব, রাসেল আতিক, রাহাত, আহমেদ ইমন, শান্তসহ নেতৃবৃন্দের তত্ত্ববধানে ইঞ্জিন চালিত জলযান সহকারে বন্যাদুর্গত দুর্গম এলাকায় এইসব ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়।
ফেনী জেলা সমিতি–চট্টগ্রাম : ফেনী জেলা সমিতি–চট্টগ্রাম, ফেনী জেলার বন্যা কবলিত ১৫০০ পরিবারের জন্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে সমিতি কার্যালয় হতে ফেনীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নুরুন নেওয়াজ সেলিমের তত্বাবধানে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন করেন সমিতির সহ–সভাপতি আবদুল মান্নান মজুমদার, বেলায়েত হোসেন, মো আবদুল হাই মাসুম, সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন মিলন, অ্যাডভোকেট আবদুল হক, মোহাম্মদ কামরুল মোর্শেদ তমাল, এ কে.এম. জামাল উদ্দিন মোল্লা, মো. আবু তালেব ভূঁঞা, নুরুল আবছার তৌহিদ, অ্যাডভোকেট মো. জাফর হায়দার, জহিরুল ইসলাম, মো. আমির হোসেন, ছিদ্দিক আহাম্মদ, ফজলুল হক ।
রোকেয়া ফাউন্ডেশন : বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের উদ্যোগে মানবিক সংগঠন রোকেয়া ফাউন্ডেশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ও বন্যা কবলিত এলাকায় রান্না করা খাবার এবং ব্যবহার্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়। গত ২৫ আগস্ট ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, রোকেয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশিদ, ভাইস–চেয়ারম্যান জাকারিয়া ইসলাম মানিক, ইসমাইল হাসান জুয়েল, মাহমুদুল করিম, এনামুল হক, নুরুল আমিন অভি, রাকিবুল ইসলাম রাশেদ প্রমুখ।
সীতাকুন্ড শঙ্কর মঠ : সীতাকুন্ড শঙ্কর মঠ ও মিশনের ভক্তবৃন্দের পক্ষ থেকে ফটিকছড়ির বিবিরহাট, পাইন্দং, কাজীরহাট, মির্জার হাট, বাগান বাজার চা বাগান, হরি মন্দির, নারায়ণ হাট ও রামগড়ে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল–চাল, ডাল, বিস্কুট, মুড়ি, চিড়া, গুড়, মোমবাতি, গ্যাস লাইটার, সেমাই ও শুকনা মরিচ। এসময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক তড়িৎ ভট্টাচার্য, মাস্টার অজিত কুমার শীল, বাসুদেব দাশ, প্রকৌশলী কাজল শীল, কাজল পাল, লিঙ্কন চক্রবর্তী ও মাস্টার সন্তোষ শীল। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার পানি ও পাহাড়ি ঢলে পাহাড় ধসে তলিয়ে গেছে সীতাকুন্ড শঙ্কর মঠে জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের প্রতিষ্ঠিত গীতা ভবন ও প্রসাদ ভবনের অংশ বিশেষ।
এতে ব্যাপক ক্ষয়–ক্ষতি হয়েছে। মঠের কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত গীতা ভবন ও প্রসাদ ভবনের তলিয়ে যাওয়া অংশ পরিদর্শন করেন শঙ্কর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ তপনানন্দ গিরি মহারাজ।
সূর্যগিরি আশ্রম : ফটিকছড়ি উপজেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেছে সূর্যগিরি আশ্রম কেন্দ্রীয় পর্ষদ ও নিরোদ লীলা গীতা বিদ্যাপীঠ। অধ্যক্ষ ডা. বরুণ কুমার আচার্য্যের মানবসেবা কার্যক্রমের আওতায় জন্মাষ্টমী কর্মসূচি অনাড়ম্বর করে দুর্যোগ কবলিত মানুষদের সাহায্যে ত্রাণ বিতরণে এগিয়ে এসেছে। ফটিকছড়ির বিভিন্ন জায়গায় শুকনা খাবার ও রান্না করা খাবার পৌঁছে দিয়েছে। উক্ত দুর্যোগে সহযোগিতা করেন তরুণ কুমার আচার্য্য কৃষ্ণ, বিপ্লব চৌধুরী কাঞ্চন, সমীর কান্তি দাশ, অভিবসু মল্লিক, রুনা বিশ্বাস, রাহুল আচার্য্য, অর্চনা আচার্য্য, তূর্ণা আচার্য্য, ঝুমুর সর্দার, বিজন শীল, সুজন শীল, মানিক বড়ুয়া, ঝুন্টু শীল, সোনারাম আচার্য্য, রুবেল শীল, শিপ্রা বসু মল্লিক, টিটু চৌধুরী, শিমুল পাল, রণ শীল, রূপনা আচার্য্য, ধীমান দাশ, সুইটি আচার্য্য, মিটু গুপ্ত প্রমুখ।