চন্দনাইশের দোহাজারীতে ছেলেধরা সন্দেহে গতকাল সোমবার তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। জানা যায়, মিজানুর রহমান (২১) নামে এক যুবক ও সাব্বির হোসেন (১০) নামে এক শিশু গতকাল বিকালে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ঘোরাঘুরি করেন এবং কর্ণফুলী টানেল হয়ে ক্রসিং চলে আসেন। সেখান থেকে তারা চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানহাট যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভুলে উঠে যান কক্সবাজারমুখী বাসে। বাসটি চন্দনাইশের দেওয়ানহাট এলে বাসের হেলপার তাদের বলে দেওয়ানহাট এসেছে। এ সময় তারা বলেন, আমরা তো চট্টগ্রাম দেওয়ানহাট নামব। এ সময় বাসের হেলপার উপায় না দেখে তাদের দোহাজারী নেমে ট্রেনে করে চট্টগ্রামে যাওয়া যাবে বলে দোহাজারী নামিয়ে দেন।
পরে তারা দোহাজারী পৌর সদরের একটি ঝাল বিতানে বসে নাস্তা করছিলেন। এ সময় দোকানি তাদের কাছ থেকে জানতে চান, তারা কোত্থেকে এসেছেন, কোথায় যাচ্ছেন। এ সময় তাদের কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হলে তিনি তাদের ধরে স্থানীয় লোকজন ঢাকেন। এ সময় উত্তেজিত জনতা মিজানুর রহমানকে ছেলেধরা সন্দেহে উত্তম–মধ্যম দেয়। পরে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে দোহাজারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে।
দোহাজারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই বিল্লাল হোসেনসহ পুলিশের একটি টিম ও স্থানীয় দোকানদার ও দোহাজারী যুব রেড ক্রিসেন্টের কয়েকজন সদস্য তাদের চন্দনাইশ থানায় নিয়ে যায় এবং শিশু সাব্বিরের পিতাকে খবর দেয়।
চন্দনাইশ থানার ওসি (তদন্ত) যুযুৎসু যশ চাকমা বলেন, দোহাজারীতে জনতার হাতে আটক দুজন ক্রসিং থেকে চট্টগ্রাম দেওয়ানহাট যাওয়ার পথে ভুলে চন্দনাইশ দেওয়ানহাট চলে এসেছে। রাতে শিশু সাব্বিরের পিতা থানায় এসে বিস্তারিত জানার পর দুজনকে নিয়ে যান। এ ব্যাপারে শিশু সাব্বিরের পিতা এনায়েত হোসেন কোনো অভিযোগ করেননি। শিশু সাব্বিরও তাকে জোর করে নিয়ে আসেনি বলে জানায়।