২০০৩ সালে মুলতান টেস্টে জয়ের খুব কাছে গিয়েও হেরেছিল বাংলাদেশ। সেবার টাইগারদের হৃদয় ভেঙে পাকিস্তানকে রক্ষা করেছিলেন ইনজামাম উল হক। সেদিন কান্না ভেজা চোখে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। দুই দশকেরও বেশি সময় পর এবার রাওয়ালপিন্ডিতে টাইগারদের গর্জন। চতুর্থ দিনের শুরু থেকেই ড্রাইভিং সিটে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে মুলতানের সেই স্মৃতি তাড়া করেছে অনেকটা সময় ধরে। অন্তত মোহাম্মদ রিজওয়ান যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত খানিকটা প্রতিরোধ গড়লেও মুলতানের ইনজামাম হতে পারেননি এই উইকেটকিপার ব্যাটার। প্রথমবার পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে এর আগে ১৩ টেস্টের মধ্যে ১২ বারই হেরেছিল বাংলাদেশ। সেরা সাফল্য ছিল ড্র। পাকিস্তানের বিপক্ষে অধরা সেই জয় অবশেষে ধরা দিয়েছে। সেটাও আবার প্রতিপক্ষের ঘরের মাঠে, ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। এই জয়টা বাংলাদেশের ক্রিকেটের নিশ্চিতভাবেই অন্যতম সেরা প্রাপ্তি। আর সুজনের কাছে নেহাত একটা জয়ের চেয়েও বেশি কিছু! কতটা আনন্দে মানুষের চোখ থেকে পানি আসে? রাওয়ালপিন্ডির এই জয়ের আনন্দে গণমাধ্যমে কথা বলার সময় কান্না করেছেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সুজন বলেন, ‘২০০৩ অন্যরকম হতে পারতো আসলে। সত্যি কথা বলতে অন্যরকম হতে পারতো। কিন্তু আমি মনে করি তখন হয়তো আমাদের অভিজ্ঞতা ছিল না। রিভিউ ছিল না একটা জুনিয়র বলা যায় ছোট দলের জন্য রিভিউ সিস্টেম যে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ আজকের টেস্ট ম্যাচ থেকে বোঝা গেছে। শান মাসুদের কটটা কি হত আম্পায়ার তো আউট দিচ্ছিল না। ডিআরএসের এর সূত্রেই তো পাওয়া।’ ‘২১ বছর আগে যেটা মনে ছিল ওটা আজকের পর আর মনে থাকবে না বোধহয়। আজকের পর থেকে রাওয়ালপিন্ডির টেস্ট ম্যাচ টা মনে থাকবে। প্রত্যেকটা ব্যাটিং মনে থাকবে, প্রত্যেকটা উইকেট মনে থাকবে, ওটা এখন অনেক খুশির ব্যাপার।’–যোগ করেন তিনি।