তুমি যদি ভাসিয়ে নিলে আমার কুটির!
ঐ–যে প্রাসাদ ঐ প্রাসাদটা ডুবলোনা ক্যান?
তোমার স্রোত, শুধুই গরীব দুঃখীর লাগি?
রাজপ্রাসাদের বাসিন্দারা নয়তো কেন?
তোমার স্রোত ভাসায় আমার ক্ষেতের ফসল!
ধনীর সিন্দুক ভর্তি রবে টাকায় কেন?
তোমার স্রোত ভাসিয়ে নিলো আমার পশু!
ভাসাবে না! কেন তবে নরপশু?
আমারতো আর নাই বসতি টাকার মেলা
যাদের আছে তাদের তুমি দাও না হেলা !
আগেও কবে বলেছিলাম ভুলে গেছ —
আসলে তুমি সবার জন্য সামনে আস —
ডোবাও কুটির ডোবাও প্রাসাদ বানের টানে —
কেউ যেন, ফিরে না চায় কারো পানে —
সাঁতার কাটুক ‘গরীব–ধনী’ একই সাথে —
দেখতে তুমি কে–বা হারে কে–বা জিতে !
অমন করে আসলে তুমি দেখতে পেতে —
ক্ষেতের শ্রমিক বেঁচে আছে সাঁতার কেটে !
ধনীর দুলাল মরতো সবাই তোমার জলে —
পড়তো ছাপা প্রাসাদ লোভী জলের তলে–!
তুমি গেলে বাঁচতো যারা – গড়ত এ–দেশ
ফুল ফসলে উঠতো ভরে আমার স্বদেশ।