বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বৃষ্টি না থাকায় খাগড়াছড়ি জেলা সদরের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। তিন দিনের ব্যবধানে দুই দফা বন্যায় ভোগান্তিতে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। এদিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বন্যার পানিতে ডুবে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। নিচু এলাকা হওয়ার কারণে দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা এখনো পানিবন্দি। বন্যার পানিতে ডুবে আছে মেরুং বাজার। মেরুংয়ে ২০টির বেশি গ্রাম এখনো পানির নিচে। ডুবে আছে ঘরবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মেরুং হেডকোয়ার্টার এলাকায় সড়ক থেকে পানি না নামায় খাগড়াছড়ির সাথে লংগদুর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, মেরুংয়ে ত্রাণ সহায়তা চলমান আছে। দুর্গম প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে ত্রাণ পৌঁছানো হয়েছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও ত্রাণ পৌঁছানো হয়েছে। পানিতে ডুবে কিশোরীর মৃত্যু : খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বন্যার পানিতে ডুবে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার বিকালে উপজেলা মেরুং ইউনিয়নের কাবুল্যা কার্বারী পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত রুষা চাকমা একই গ্রামের পল্টু চাকমার মেয়ে।
গতকাল বিকালে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ। মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য শান্তি চাকমা বলেন, বন্ধুদের সাথে বন্যার পানিতে গোসল করতে পারে রুষা চাকমা। এ সময় সে হঠাৎ তলিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তার মরদেহ উদ্ধার করে। ইউএনও মামুনুর রশীদ জানান, বন্যায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান নিহত শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে ৩০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।