পটিয়ায় ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। গত এক সপ্তাহ ধরে ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে এসব নিম্নাঞ্চলে পানি জমে মানুষের দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো।
খবর নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ছনহরা, আশিয়া, কাশিয়াইশ, কুসুমপুরা, কোলাগাঁও, ভাটিখাইন, জিরি, শোভনদন্ডী, ধলঘাট, বড়লিয়া ও জঙ্গলখাইনসহ পৌরসভার বিভিন্ন নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে নিম্নাঞ্চলের মানুষগুলো। এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলাউদ্দীন ভুঞা জনী জানান, পটিয়ার বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩৭টি স্কুল কলেজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও মোখিকভাবে প্রতিটি স্কুল কলেজকে বলা আছে, যাতে কেউ আশ্রয় নিতে চাইলে তাদের যেন আশ্রয় দেয়া হয়। বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলের বাড়ি ঘর ও সড়ক বর্তমানে পানির নিচে রয়েছে। আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। তাছাড়া বর্তমানে বিভিন্ন শিক্ষার্থী, বিএনসিসি ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্পনা রহমান জানান, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এখনো উপজেলার কুসুমপুরা, হাবিলাসদ্বীপ, কোলাগাঁও, আশিয়া, কাশিয়াই, ছনহরা, শোভনদন্ডী, ধলঘাট, জিরি এবং পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা পানিতে নিমজ্জিত। এসব এলাকায় আমন চাষের ব্যাপক ক্ষতি হবে। পানি নেমে যাওয়ার পর এসব ক্ষতি নিরূপন করা সম্ভব হবে।