অনতিবিলম্বে সকল সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে তাদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন অপকর্ম করে বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা করছে দাবি করে তিনি এসব সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ঐ সমস্ত সন্ত্রাসীরা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল। তারা যেন রাহাজানি করতে না পারে সতর্ক থাকবেন। কোনো আওয়ামী–যুবলীগের দোসরা অপকর্ম করে বিএনপির ওপর দোষ ছাপিয়ে দিতে না পারে তার জন্যও সজাগ থাকবেন। তিনি গতকাল বিকালে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজি ঠেকাতে দক্ষিণ বাকলিয়া মিয়াখান নগরে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এতে প্রধান বক্তা ছিলেন নগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর। ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী নবাব খান এতে সভাপতিত্ব করেন। নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, বাকলিয়ায় কোনো সন্ত্রাস, নৈরাজ্যকারী, ভূমিদুস্য
ও চাঁদাবাজের স্থান হবে না ঘোষণা দিয়ে বলেন, বিগত সরকার আমলে এই বাকলিয়ায় ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও দখলবাজকারীদের জন্য অনেক ভলো মানুষকেও এলাকা ছাড়তে হয়েছে। ওই সমস্ত সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করতে হবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। ১৬ বছরের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য থেকে মানুষ মুক্ত হয়েছে। এখন কেউ সন্ত্রাসী করলে, চাঁদা দাবি করলে, দখলবাজি করলে তাদেরকে ধরে আইনের হাতে তুলে দিবেন।
ডা. শাহাদাত বলেন, রাজা লক্ষণ সেনের মতো শেখ হাসিনা পেছনের দরজা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকারের পতন হয়েছে। ভারত তাকে আশ্রয় দিয়েছে। খুনি হাসিনা এখন ভারতে বসে এই বিপ্লবকে নস্যাৎ করার চক্রান্ত শুরু হয়েছে। গত ১৫ বছরে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, মানবাধিকার, আইনের শাসন ভুলুণ্ঠিত করেছে। ভারতের উচিৎ আইনানুগভাবে এখন শেখ হাসিনাকে ফেরত দিয়ে আইনের হাতে সোপর্দ করা। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, ছাত্র–জনতার অর্জিত বিজয় নস্যাৎ করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অন্যায়ভাবে তা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের দলের কোনো নেতাকর্মী এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত নন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট করে বলেছেন, কোনো দুষ্কৃতিকারী, দখলদার, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রসীর ঠিকানা বিএনপিতে হবে না। দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ চাই। আমরা চাই একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। সাম্য, সমঅধিকার, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করে আমরা এই নতুন বাংলাদেশ গঠন করতে চাই। বিএনপি সে লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
১৯ নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব চৌধুরী নাজিমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সহ–সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরীর আসু, বাকলিয়া থানা বিএনপির সিনিয়র সহ–সভাপতি এম. চৌধুরী মামুন, সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ইউনুস চৌধুরী হাকিম, বিএনপি নেতা এস এম সেলিম, এ টি এম ফরিদুল আলম, হাজী মোহাম্মদ ইউনুস, নাজমুল হক নাজু, তানভীর হায়দার, মহানগর যুবদল নেতা আসাদুর রহমান টিপু, মো. জসিম উদ্দিন, সালাউদ্দিন চৌধুরী বাসু, বাকলিয়া যুবদলের সাধারণ সদস্য সচিব মো. মুসা, শ্রমিক দলের সভাপতি গুলজার হোসেন লেদু, বাকলিয়া থানার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. দুলাল, মোহাম্মদ শামীম, আব্দুল বারেক, ইয়াকুব খান, মো. অপু, সানোয়ার কাদের সানি, মো. জয়, মো. কুতুব উদ্দিন রাজু, মো. জামশেদ, মো. শাহিন, মো. টিপু।