ফটিকছড়িতে বন্যার পানিতে ভেসে এসেছে বাংলাদেশের বিপন্ন জাতের একটি জীবিত শুশুক। গতকাল বুধবার বেলা ১টার দিকে ফটিকছড়ি হারুয়ালছড়ির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাটিয়ালছড়িতে এ শুশুকটি ধরা পড়ে। আনুমানিক ২০–২৫ কেজি ওজনের মাঝারি সাইজের শুশুকটি মাছ ধরার কই জালিতে ধরা পড়ে। এটি ধরার কিছুক্ষণের মধ্যে স্থানীয়রা পানিতে অবমুক্ত করে দেয়।
জানা যায়, হালদা নদী, ধুরুং খালসহ উপজেলা বিভিন খাল, শাখা খালের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া মানুষের পুকুর, ডেবা এবং মাছের বিভিন্ন প্রজেক্ট পানিতে ভেসে গেছে। এরপর থেকে বিল, রাস্তা–ঘাট এর পানিতে বিভিন্ন জাতের মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য কেউ হাত জাল, কেউ বড় জাল, কেউ বা কই জাল বসিয়ে মাছ ধরছেন। এমনি একটি কই জালে আটকা পড়ে মাঝারি সাইজের এ শুশুকটি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুশুক একটি স্তন্যপায়ী জলজ প্রাণী। বাংলাদেশে এখন এটি বিপন্ন প্রাণী হিসেবে পরিচিত। ভারত, বাংলাদেশ ও নেপালে প্রাপ্ত স্বাদু জলের শুশুক ডলফিনেরই একটি প্রজাতি। এ শুশুক প্রজাতি প্রাথমিকভাবে গঙ্গা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদ এবং বাংলাদেশ ও নেপালের মাঝে প্রবাহিত শাখা নদীগুলোতে দেখা যায়। বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে গঙ্গা নদী শুশুকের অস্তিত্ব খুব কম হলেও মাঝে মাঝে তা দেখা যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আজিজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফটিকছড়িতে বন্যার পানিতে ভেসে আসা জলজ প্রাণীটি একটি শুশুক। এটির বৈজ্ঞানিক নাম– Platanista gangetica। এগুলো খাওয়া যায় না। এটিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে আবার জীবিত অবস্থায় স্থানীয়রা অবমুক্ত করেছে। নদী থেকে প্রাণীটি লোকালয়ে চলে আসার সম্ভাবনা।