পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালাপিন্ডি টেস্টের প্রথম দিনের বেশিরভাগ সময় কেড়ে নিয়েছে বৃষ্টি। দিনের ৯০ ওভারের খেলার ৪৯ ওভার হতে পারেনি বৃষ্টির কারণে। তবে প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা পর শুরু হওয়া ম্যাচের শুরুতে বাংলাদেশের বোলাররা দারুন করেছিল। উইকেটে ঘাস থাকায় বাউন্স ও সিম মুভমেন্ট পাচ্ছিল পেসাররা। সেটাকে কাজে লাগিয়ে নতুন বলে দারুণ বোলিং করেন শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। তাতে বাংলাদেশের শুরুটাও হয় বেশ ভালো। তবে সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি বোলাররা। বিশেষ করে সাইম আইয়ুব ও সাউদ শাকিলের হাফ সেঞ্চুরিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান। প্রথম দিনের ৪১ ওভার খেলায় ৪ উইকেটে ১৫৮ রান করেছে পাকিস্তান। অথচ ১৬ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশের বোলাররা। দিন শেষে ৫৭ রানে অফরাজিত শাকিল। আর টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতে ৫৬ করে বিদায় নিয়েছেন সাইম আইয়ুব। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ও হাসান মাহমুদ। টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তৃতীয় ওভারেই আব্দুল্লাহ শাফিককে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন হাসান মাহমুদ। যেখানে বড় অবদান জাকির হাসানের। স্লিপে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন তিনি। ষষ্ঠ ওভারে শরিফুল বিদায় করেন শান মাদুসকে। রিভিউর মাধ্যমে বিদায় নেন পাকিস্তান অধিনায়ক। যা মানতে পারেননি তিনি। আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়ান তিনি। নিজের পরের ওভারে বাবর আজমকে শূন্য রানে ফেরান শরিফুল। যা ছিল তার স্বপ্নের উইকেট। লেগ স্টাম্পের বাইরের বল ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটের পেছনে। বাম দিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে অসাধারণ ক্যাচ নেন কিপার লিটন কুমার দাস। প্রথম ৯ ওভারের মধ্যে তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে তখন ভীষণ চাপে পড়ে পাকিস্তান।
শরীফুলের পরের ওভারে রান আউট হতে হতেও বেঁচে যান শাকিল। পরে তিনি প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সাইম আইয়ুবকে সঙ্গে নিয়ে। খোলসে না ঢুকে পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নেন দুজন। তৃতীয় বোলার হিসেবে আক্রমণে এসে কিছুটা এলোমেলো বোলিং করেন নাহিদ রানা। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৭৬ বলে ফিফটি করেন ওপেনার সাইম। বাংলাদেশের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে ওঠা ৯৮ রানের জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করার চেষ্টায় স্লিপে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ধরা পড়েন সাইম। ৯৮ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৫৬ রান করেন সাইম আইয়ুব। শাকিল ফিফটি করেন ৮২ বলে। বিস্ময়করভাবে সাকিব আল হাসানকে বোলিংয়ে আনা হয় ইনিংসের ৩৯তম ওভারে। ওই ওভারে তাকে পরপর দুটি চার মারেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। সাকিবের পরের ওভারই হয়ে থাকে দিনের শেষ ওভার। ২৪ রানে অপরাজিত আছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। বাংলাদেশের পক্ষে শরীফুল ইসলাম এবং হাসান মাহমুদ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন যথাক্রমে ৩০ ও ৩৩ রান খরচায়।