লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতা–কর্মীদের উপর ২০১৮ সালে নির্বাচনী প্রচারণাকালে হামলা ও হত্যা চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, তার ভাই জসিম উদ্দিন চৌধুরী মন্টু, চন্দনাইশের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জাব্বার চৌধুরী ও তার ভাই আবদুল কৈয়ূম চৌধুরীসহ ৭৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং ২০–২৫ জন অজ্ঞাতনামা। সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের জনার কেঁওচিয়া চেয়ারম্যান পাড়ার মৃত ছালেহ আহমদের পুত্র ও এলডিপি নেতা সরওয়ার জামাল বাদি হয়ে গতকাল মঙ্গলবার সাতকানিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহার মতে, কর্নেল অলি আহমদের পুত্র অধ্যাপক ওমর ফারুক সানি ২০১৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে দলের স্থানীয় নেতা–কর্মীদের সাথে নিয়ে সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের তেমুহনী সাইক্লোন সেন্টারের পশ্চিম পার্শ্বের আলম কাজী জামে মসজিদ এলাকায় বাবার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এসময় সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, তার ভাই জসিম উদ্দিন চৌধুরী মন্টু, চন্দনাইশের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জাব্বার চৌধুরী, তার ছোট ভাই আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও হাবিবুর রহমানের নির্দেশে ও নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা–কর্মী ও সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলা চালায় এবং অধ্যাপক ওমর ফারুক সানিকে হত্যার চেষ্টা চালায়। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা প্রথমে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও গুলি চালিয়ে পুরো এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে। এরপর তারা ধারালো অস্ত্র, হকিস্টিক ও লাঠিসোটা নিয়ে কর্নেল অলি আহমদের পুত্র অধ্যাপক ওমর ফারুক সানিসহ প্রচারণায় অংশ নেয়া এলডিপির নেতা–কর্মী ও সমর্থকদেরকে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে।
সাতকানিয়া উপজেলা এলডিপির সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন জানান, ওই ঘটনার পর মামলা করার জন্য আমরা থানায় গিয়েছিলাম। কিন্তু থানার তৎকালীন ওসি আমাদের মামলা নেয়নি। এখন পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, কেঁওচিয়ার এলডিপি নেতা সরওয়ার জামাল বাদি হয়ে সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরীসহ ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০–২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলাটি দায়ের করেছে।