নগরীর নতুন ব্রিজ এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে এক শিক্ষার্থীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত আরো ৬০/৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. অলি উল্লাহর আদালতে ভিকটিম শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বাদী হয়ে মামলার আবেদনটি করেন। তিনি বায়তুশ শরফ মাদ্রাসার আলীম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। মামলার আবেদনে উল্লেখ করা অন্যান্য আসামিরা হলেন মো. সাইফুল আলম, মো. ফরিদুল আলম, মোকতার হোসেন লিটন, শাহাজান, মো. আরমান, মো. সালাউদ্দিন, হাজী আবদুল মোনাফ, হাজী মোহাম্মদ ইসহাক, মো. মহিউদ্দিন, মো. জসিম, ইউনুচ কোম্পানি, নুরুল আবছার, মঞ্জুর আলম, জুয়েল, মোহাম্মদ রশিদ শিকদার, মো. তাজুল ইসলাম তাজু, মো. সবুজ, মাসুদ, জসিম উদ্দিন, সাদ্দাম, ফয়জুল্লাহ চৌধুরী বাহাদুর, মো. সাদেক মো. হাবিব ও ইকবাল হোসেন। আসামিরা সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী আজাদীকে বলেন, মামলার আবেদন করা হলে আদালত বাকলিয়া থানাকে তিন দিনের মধ্যে এফআইআর রুজু করতে নির্দেশ দেন।
মামলার আবেদনে আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, গত ১৮ জুলাই নগরীর নতুন ব্রিজ এলাকায় হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলনে তিনি যোগ দেন। এ সময় আসামিরা লাঠিসোঁটা, রামদা, কিরিচ ও অস্ত্র দিয়ে তাকে ও তার সহযোগীদের উপর হামলা করা হয়। এতে তিনি গুরতর আহত হন।