চট্টগ্রাম অটো টেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাহেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. জানে আলমের চাঁদাবাজিসহ নানা অন্যায়–অপকর্মের বিরুদ্ধে ধর্মঘট পালন করেছে টেম্পো চালকরা। চালকদের দিনভর ধর্মঘট ও বিক্ষোভের কারণে গতকাল সারাদিন নগরীর শাহ আমানত সেতু (নতুন ব্রিজ) এলাকা থেকে টাইগারপাস মোড় পর্যন্ত অটো টেম্পো চলাচল বন্ধ ছিল। এর ফলে এই রুটের শত শত যাত্রী সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন। গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট পালন করেন তারা।
আন্দোলনরত টেম্পু চালকরা জানান, আমাদের সংগঠনের সভাপতি মো. জাহেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. জানে আলম দুজনেই চাঁদাবাজ। ভাড়াযাত্রী নির্যাতন ও ভাড়া নৈরাজ্যকারী। তারা শ্রমিকদের কল্যাণ তো দূরের কথা, উল্টো শ্রমিকদের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে শোষণ ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। চট্টগ্রাম অটো টেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনবিহীন নেতৃত্ব দখল করেছে তারা কয়েকজন। নির্বাচন দিলেও তাদের মনোনীত ব্যক্তিরা সেখানে স্থান পায়। কেউ স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে চাইলে তাকে হুমকি–ধমকি, নির্যাতন ও মামলা দিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানি করে আসছে। এমনকি তারা দীর্ঘদিন যাবৎ মেট্রো আরটিসির অনুমোদিত ১৭ নং অটো টেম্পো রুটে চালকদের পরিচয়পত্র বাবদ ১০ হাজার টাকা, কর্মকালীন সময়ে নতুন ব্রিজ, কোতোয়ালী মোড়, জি.পি.ওসহ বিভিন্ন এলাকায় দৈনিক ২৮০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছে। সেখানে পারমিটবিহীন অটো টেম্পো ভর্তি ফি ৭০ হাজার টাকা এবং অনুমোদিত অটোটেম্পো ভর্তি ফি ৫০ হাজার টাকা অবৈধভাবে আদায় করেন। একইভাবে প্রতিমাসে চালকদের কাছ থেকে মাসিক এক হাজার টাকা চাঁদা আদায় করতেন এ দুইজন। চাঁদা প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে মারধর, মামলা, হয়রানি থেকে কেউ রেহায় পান না।
ধর্মঘট চলাকালে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চালক মো. আনোয়ার হোসেন, মনির হোসেন, মো. সোহেল, মো. শুক্কুর, মো. তৌহিদ, মো. রাব্বি, মো. ছগির, আবদুর রহিম, মো. মামুন প্রমুখ। তাদের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানায় ১৪ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান টেম্পো চালকরা।
মামলার বিষয়টি স্বীকার করে বাকলিয়া থানার ওসি আফতাব হোসেন বলেন, চালকদের মারধর ও চাঁদাবাজি সংক্রান্ত ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।