ডাঙ্গার চর সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীর ৬০ ফুট গভীর থেকে তুলে আনা জাহাজটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রেভিনিউ বিভাগের বলে জানা গেছে। এটি দিয়ে তখনকার সময়ে তারা ঘুরে ঘুরে রেভিনিউ সার্ভে করতো। জাহাজটি থেকে নবাব সুজাউদ্দৌলার শাসনামলের বেশ কিছু ব্যবহার্য জিনিস পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার জাহাজটি থেকে ওই সময়কার নানা সামগ্রী পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন হিরামনি স্যালভেশ লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন।
উল্লেখ্য, সুজা–উদ্দিন মুহাম্মদ খান নাসিরি রাজবংশের বাংলার দ্বিতীয় নবাব ছিলেন। তিনি ১৭২৭ থেকে ১৭৩৯ পর্যন্ত এ অঞ্চল শাসন করেছিলেন। ১৭২৭ সালে তিনি ওড়িশার সুবেদার এবং বাংলার সুবেদার হিসাবে নিযুক্ত হন। তিনি ১৭৩১ সালে বিহারের সুবেদার হিসাবেও নিযুক্ত হয়েছিলেন।
জানা যায়, বন্দরের শর্ত মেনে হিরামনি নামের একটি বেসরকারি উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান ডুবে থাকা জাহাজ উদ্ধারের কাজ শুরু করে। তারা চট্টগ্রাম বন্দরের ৬ ও ৭ নং জেটির মধ্যবর্তী স্থানের বিপরীত পাশে ডাঙ্গারচর এলাকায় একটি ডুবে থাকা জাহাজ শনাক্ত করে এবং প্রায় ৮ মাস আগে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে।
তারা কর্ণফুলী নদীর ৩০ ফুট পানির গভীরে গিয়ে অন্তত আরো ৩০ ফুট মাটি খনন করে তার নিচ থেকে প্রায় দেড়শ’ বছরের পুরানো জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করে।
চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেলসহ কর্ণফুলীর তলদেশে ডুবে থাকা এসব জাহাজের কারণে জাহাজ চলাচলে হুমকি ছাড়াও ড্রেজিং খাতে প্রতিবছর বন্দর কর্তৃপক্ষকে কোটি কোটি টাকার যোগান দিতে হচ্ছিল। বন্দর সূত্র জানিয়েছে, নদীতে ডুবে থাকা জাহাজের কারণে পলি জমে চর সৃষ্টি হচ্ছে বহু বছর ধরে। এসব ডুবুচর ড্রেজিং করে মাটি সরাতে বন্দর কর্তৃপক্ষকে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হয়। ইতোমধ্যে তিনশ’কোটিরও বেশি টাকা খরচ করে সম্পন্ন করা হয়েছে ক্যাপিটাল ড্রেজিং। নদীর তলদেশে ডুবে থাকা জাহাজগুলোর জন্য ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের পর চর জাগছিল।
এই অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কয়েকটি বেসরকারি উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠানকে ডুবে থাকা জাহাজগুলো উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মোতায়ন করে।
বন্দরের শর্ত মেনে হিরামনি নামের একটি বেসরকারি উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান ডুবে থাকা জাহাজ উদ্ধারের কাজ শুরু করে। তারা চট্টগ্রাম বন্দরের ৬ ও ৭ নং জেটির মধ্যবর্তী স্থানের বিপরীত পাশে ডাঙ্গারচর এলাকায় একটি ডুবে থাকা জাহাজ শনাক্ত করে এবং প্রায় ৮ মাস আগে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে।
তারা কর্ণফুলী নদীর ৩০ ফুট পানির গভীরে গিয়ে অন্তত আরো ৩০ ফুট মাটি খনন করে তার নিচ থেকে প্রায় দেড়শ’ বছরের পুরানো জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করে।
হিরামনি স্যালভেজ লিমিটেডের কর্ণধার মোহাম্মদ আবুল কালাম ডুবুরি বলেন, আমরা এই জাহাজটিসহ তিনটি জাহাজ নিজস্ব অর্থায়নে উদ্ধার ও অপসারণ করে বন্দর তথা দেশের অর্থনীতির জন্য অবদান রাখতে চাই।