পটিয়ায় কাশিয়াইশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে গতকাল সকালে বিক্ষুব্ধ জনতা চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, নির্যাতন ও জমি দখলের অভিযোগ তুলে স্লোগান দেয়। পরে সেনাবাহিনী তাকে উদ্ধার করে পটিয়া থানায় নিয়ে যায়। এদিকে তাকে পটিয়া থানায় নিয়ে আসার খবর ছড়িয়ে পরলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা পটিয়া থানার গেটে অবস্থান নেয়। তারা আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে ৪ আগস্ট ছাত্রদের উপর হামলার অভিযোগ আনেন। একই দিন দুপুর ২টার দিকে পটিয়া পৌরসভা কার্যালয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা তালা লাগিয়ে দেয়।
এদিকে, পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল আলম পরিষদে আসার খবর পেয়ে সকাল ৯টা থেকে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন পটিয়া পৌরসভা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সকাল ১০টায় ভাটিখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ বখতেয়ার উপজেলা পরিষদ গেইট দিয়ে ইউএনও’র রুমে যেতে চাইলে তাকে ফিরিয়ে দেন যুবদলের নেতাকর্মীরা। পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল জানান, কে বা কারা পৌর কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। আমি স্থানীয় সরকারের উপদেষ্টার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছি।
পটিয়া থানার ওসি জসীম উদ্দিন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে স্থানীয়রা ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। সেনাবাহিনীর একটি টিম তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে ৬টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আমরা তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
পটিয়ার ইউএনও আলাউদ্দিন ভূইয়া জনি জানান, প্রায় চেয়ারম্যানরা জনতার ঘেরাওয়ের কারণে পরিষদে যেতে পারেননি। আশিয়া ও কাশিয়াইশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অবরুদ্ধ হন। পরে সেনাবাহিনী তাদের উদ্ধার করে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর পটিয়া উপজেলার ১৭ ইউনিয়নের ১৬ ইউপি চেয়ারম্যান–ইউপি সদস্য, পটিয়া পৌর মেয়র ও কাউন্সিলররা আত্মগোপনে চলে যান। শুধুমাত্র ছনহরা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ দৌলতী বিএনপি সমর্থিত হওয়ায় তিনি নিয়মিত পরিষদ করে যাচ্ছেন বলে জানা যায়।