ছাত্র জনতার স্মরণাতীত কালের তুমুল বিক্ষোভের মুখে গণঅভ্যুত্থান ঘটে গেল। পতন হলো আওয়ামী লীগ সরকারের। বাংলাদেশের ইতিহাসে এভাবে সরকার পতনের ঘটনা আগে কখনো হয়নি। অর্ন্তবর্তীকাকীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস। সারবিশ্বেই তাঁর জনপ্রিয়তা সর্বজনবিদিত। আওয়ামী সরকারের পতনের পর চারদিকে হযবরল অবস্থা শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাংলাদেশের চিরাচরিত রাজনৈতিকভাবে অভিশপ্ত বাস্তবতায় দৌড়ের ওপর থাকে। অনেকের ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বেশিরভাগই হন এলাকাছাড়া। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি, জামাতের নেতাকর্মীদের একই অবস্থা হয়েছিল। এর আগে ২০০১ সালে বিএনপি জামাত ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একই অবস্থা হয়। এ যেন এক অভিশপ্ত রাজনৈতিক কালচার। বাবা মারা গেছে, ছেলে জানাজা পড়তেও এলাকায় আসতে পারেনি। পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেনি। মামলার খড়গ তো আছেই। এমনও হয়েছে অনেক জায়গায় যে মৃত মানুষকেও মামলার আসামি করা হয়েছে। কথা বলার স্বাধীনতা খর্ব করার প্রবণতা মারাত্মকভাবে দৃশ্যমান হয়। এলাকা বিচ্ছিন্ন হওয়াই যেন ক্ষমতার পালাবদল পরবর্তী নিদারুণ বাস্তবতা হয়ে যায়। রাজনৈতিক বিবেচনায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাওয়ার ছড়াছড়ি যেমন দল ক্ষমতায় থাকতে দেখা যায়। ক্ষমতার ছায়া সরে গেলেই রাতরাতি দাবার দান উল্টে যায়।বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজির নেতৃত্ব পাল্টে যায়। একদল যায়, আরেকদল আসে। এমনই দুঃসহ আর অভিশপ্ত যাঁতাকলেই যেন আমজনতা পিষ্ট হচ্ছে রাজনীতির নামে। এমন অভিশপ্ত ধারা বন্ধ হবে এমনটাই প্রত্যাশা। আশা করবো সমৃদ্ধ ও উন্নত ফটিকছড়ি গড়তে সবাই মানবিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন। রাজনীতি যেন অভিশাপ হয়ে আমাদের তছনছ করে না দেয়। রাজনীতি হোক কল্যাণের মাধ্যম।