থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ধনকুবের থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়েকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করেছে পার্লামেন্ট। গতকাল শুক্রবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে আইনপ্রণেতারা পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেন। তার পক্ষে পড়ে ৩১৯টি ভোট এবং বিপক্ষে পড়ে ১৪৫টি।
মাত্র ৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্নই হচ্ছেন থাইল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী এবং তার ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রার পর তিনিই হচ্ছেন দেশটির দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী। খবর বিডিনিউজের।
থাইল্যান্ডে এর আগের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে সাংবিধানিক আদালত পদচ্যুত করার মাত্র দুদিন পর পেতংতার্নকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করল পার্লামেন্ট। স্রেথার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি জেলখাটা এক আইনজীবীকে মন্ত্রী নিয়োগ করে ‘নৈতিকতার নিয়ম লঙ্ঘন’ করেছেন।
বিবিসি জানায়, গত বৃহস্পতিবার ফেউ থাই পার্টি প্রধানমন্ত্রী পদে নিজেদের প্রার্থী হিসেবে পেতংতার্নের নাম ঘোষণা করেছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্রেথা এবং পেতংতার্ন দুজনই ফেউ থাই পার্টির নেতা। ২০২৩ সালের নির্বাচনে এই দল দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছিল। তবে তারা জোট সরকার গড়ে। গত দুই দশকে থাইল্যান্ডে সিনাওয়াত্রা পরিবার থেকে প্রধানমন্ত্রী হতে চলা চতুর্থ সদস্য হচ্ছেন পেতংতার্ন। বাকি তিনজন সেনা অভ্যুত্থান কিংবা সাংবিধানিক আদালতের রায়ে ক্ষমতাচুত হয়েছেন।
থাইল্যান্ডের অভিজাত স্কুল এবং যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন পেতংতার্ন। সিনাওয়াত্রা পরিবারের মালিকানাধীন রেন্ডে হোটেল গ্রুপে কয়েক বছর কাজ করেছেন তিনি। তার স্বামী ওই গ্রুপের উপপ্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত। পেতংতার্ন ২০২১ সালে ফেউ থাই পার্টিতে যোগ দেন এবং ২০২৩ সালের অক্টোবরে তাকে দলনেতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।