চট্টগ্রামের দুই হাজারেরও বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়া হয়েছে। গতকাল থেকে স্কুলগুলোতে ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে স্কুল খোলার প্রথমদিনে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল। দুয়েক দিনের মধ্যে স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ১৭ জুলাই থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর গত ৩১ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের যৌথ বৈঠকে ৪ আগস্ট থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওই সভায় ১২টি সিটি করপোরেশন ও নরসিংদীর পৌর এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ওই সময় না খোলারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানসহ সৃষ্ট পরিস্থিতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো কার্যত বন্ধ থাকে।
গত মঙ্গলবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল থেকে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়া হয়েছে।
গতকাল চট্টগ্রামের সর্বমোট ২২৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস হয়েছে। এরমধ্যে নগরীর ২০৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, শিক্ষকেরা উপস্থিত হলেও শিক্ষার্থী উপস্থিতির সংখ্যা তুলনামুলকভাবে কম ছিল। দুয়েক দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বাড়বে বলেও তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
একজন প্রধান শিক্ষক জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও অনেকের ভিতরে ভীতি কাজ করছে। তাই অনেক অভিভাবকই বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। ধীরে ধীরে এই ভীতি কেটে যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিদ্যালয়গুলোতে যাতে সুষ্ঠুভাবে পাঠদান প্রক্রিয়া চলে সেই নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ডা. বিধান রঞ্জন রায় গত শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর স্কুলগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়।