হজের ব্যয় এখন প্রায় দ্বিগুণ। যে কারণে গত হজে কোটা পূরণ না হওয়ায় তিন ভাগের এক ভাগ হজযাত্রী কম গেছে। কাজেই কম খরচে হজে যাওয়ার জন্য সাগরপথে হজযাত্রী গমনের ব্যবস্থা করতে এখন থেকে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া আবশ্যক। সাথে সাথে চট্টগ্রাম বিভাগের মানুষ হজে যাওয়ার জন্য চট্টগ্রামস্থ পাহাড়তলী হাজী ক্যাম্প চালু করতে সংগঠনের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়। গত ১২ আগস্ট হজযাত্রী কল্যাণ পরিষদের এক সভায় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত দাবিগুলো জানান।
পরিষদের সভাপতি আহমদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহাসচিব অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম। যুগ্ম মহাসচিব সালেহ আহমেদ সুলেমানের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. এ.কে.এম সাইফুদ্দীন, এডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, যাহেদুর রহমান যাহেদ, আবু মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম, মুহাম্মদ ইদ্রিস আগ্রাবাদী, অধ্যক্ষ ডা. মো. নুরুল আমিন, এডভোকেট ছমিউদ্দিন, মুহাম্মদ শরীফ, কাজী মাওলানা শিহাব উদ্দিন, মুহাম্মদ নাঈম নিমু, হুমায়ুন কাদের খান খসরু, এডভোকেট মুহাম্মদ ইলিয়াস, মেহের আলী চৌধুরী।
সভায় আলোচকগণ আরও বলেন, হজযাত্রীর ব্যয় অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৪৪ হাজার তথা তিন ভাগের এক ভাগ হাজী কমে গেছে। যা বিশ্বের অন্য কোন দেশে হয়েছে বলে মনে হয় না। ইহা ছাড়াও চট্টগ্রাম থেকে হজ যাত্রীদের সংখ্যা অন্যান্য বিভাগের তুলনায় সর্বাধিক হওয়ায় চট্টগ্রাম হয়ে সাগরপথে হজযাত্রী প্রেরণ সময়ের দাবি। সাথে সাথে চট্টগ্রাম বিভাগের হজ্বযাত্রীদের সুবিধার্থে ও ঢাকার উপর চাপ কমাতে পাহাড়তলী হাজী ক্যাম্প চালু করা অত্যাবশ্যক। যাতে সাগরপথে হজ্বযাত্রী প্রেরণের পাশাপাশি আকাশপথেও চট্টগ্রাম বিভাগীয় হজ্বযাত্রীরা হজ্বে গমণ সুবিধাজনকভাবে করতে পারেন তৎজন্য হজ্ব অফিস হিসেবে পাহাড়তলী হাজী ক্যাম্প যেন অনতিবিলম্বে চালু করা হয়।