চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হল থেকে গুলিভর্তি পিস্তল নিয়ে বের হওয়ার সময় এক যুবককে আটক করেছে শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে শিক্ষার্থীরা অস্ত্রসহ সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন। গতকাল রোববার বিকেল ৩টায় এফ রহমান হলের সামনে থেকে তাকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা।
নিজের নাম দাউদ সালমান ও নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৩–১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দিয়েছেন ওই যুবক। এসময় তার কাছে কিছু গাঁজাও পাওয়া গেছে বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। এছাড়াও সায়েদ ফুল মধু নামে ২০১৪–১৫ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীর কিছু মার্কসিটও পাওয়া গেছে। এ এফ রহমান হলের ৪১৫ নম্বর কক্ষ থেকে এসব নিয়ে বের হয়েছেন বলে আটক ওই যুবক জানিয়েছেন।
আটক যুবকের সহপাঠীরা বলেন, সে নিরীহ মানুষ। সে এই কাজ করার কথা না সাধারণত। সে হলেও থাকে না। নিশ্চয় কেউ তাকে টাকা দিয়ে এই কাজ করিয়েছে বলে ধারণা তাদের।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চবি সমন্বয়ক ইব্রাহিম রনি বলেন, এই ছেলে সার্টিফিকেট ও মার্কসিট নেওয়ার কথা বলে হলে প্রবেশ করার জন্য আমকে ফোন দেয়। আমি বলি– আপনি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন। আমরা আসলে আমাদের কাউকে সাথে নিয়ে হলে ঢুকবেন। কিন্তু তিনি কথা না শুনে হলের গার্ডকে ধাক্কা দিয়ে জোর করে হলে প্রবেশ করেন। এরপর যখন তার জিনিসপত্র নিয়ে হল থেকে বের হন ততক্ষণে আমরা হলের সামনে চলে আসি। তার কাছে থাকা জিনিসপত্র চেক করার সময় আমরা লোড করা পিস্তলসহ কিছু গাঁজাও পেয়েছি।
সমন্বয়ক ইব্রাহিম আরো বলেন, আমরা তাকে আটক করার সময় আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা করেছেন। আমাদের সকল সমন্বয়কের জীবন এখন হুমকির মুখে। ভিসি, প্রোভিসিদের ছত্রছায়ায় ক্যাম্পাসে এসব হচ্ছে। আমরা অনেকদিন ধরে ভিসি ও প্রো–ভিসিদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছি। তারা পদত্যাগ না করে উল্টো সন্ত্রাসীদের দিয়ে এসব করাচ্ছে।