সামাজিক সংগঠন রিফ্রেশ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সংগঠনের শিক্ষার্থীরা নগরীর কোতোয়ালী থানা পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন। গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে এই সংগঠনে যুক্ত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা থানাটিকে আগের রূপে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রমে যোগ দেন। গত ৫ আগস্ট কোতোয়ালী থানায় হামলা চালিয়ে লুটপাট ও ভাঙচুর করে আগুনে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ধ্বংসযজ্ঞ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে থানাকে আগের রূপে ফিরিয়ে আনতে রিফ্রেশ বাংলাদেশের এই উদ্যোগ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ৪০–৫০ জন শিক্ষার্থী থানা প্রাঙ্গণ পরিষ্কারে কাজ করছেন। সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা গাড়িতে করে আবর্জনা নিয়ে যান। তাদের সহযোগিতা করতে দায়িত্বে আছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। রিফ্রেশ বাংলাদেশের সদস্যরা বলেন, আমাদের স্বেচ্ছাসেবক টিমের সকলের সহযোগিতায় এই থানাকে পরিষ্কার করে আগের রূপে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করছি। সেবাপ্রার্থীদের থানায় আসার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। বিগত যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, বাংলাদেশকে যেভাবে আমরা নতুন করে রিফর্ম করেছি, এই রিফর্মেশন যেন স্থায়ী থাকে এবং একটা সুন্দর বাংলাদেশ যেন আমরা করতে পারি–এই আমাদের মূল টার্গেট।
তারা বলেন, এখানে যারা কাজ করেছে আমরা সকলেই স্টুডেন্ট। আমরা স্বেচ্ছায় এই কাজ করেছি। এর আগের দিন সদরঘাট থানা পরিষ্কার করেছিলাম। এখানে এসে আমরা দেখেছি, সবকিছুই পোড়া এবং গ্লাস ভাঙা। স্বেচ্ছাসেবকরা আহত হয়েছেন। কারো হাত কেটেছে, কারো পা কেটেছে। তবুও আমরা থেমে নেই। আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশকে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলব। আমাদের মূল উদ্দেশ্য থানাগুলো যেন আগের রূপ ধারণ করে। কারণ পুলিশ আমাদের আশ্রয়স্থল। পুলিশের সাথে সমন্বয় করে তাদের সকল প্রকার সহযোগিতা করব।
এদিকে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর ও কোতোয়ালী থানা জামায়াতের সেক্রেটারি মোস্তাক আহমেদের নেতৃত্বে বিএনপি–জামায়াতের নেতাকর্মীরাও থানা প্রাঙ্গণ পরিষ্কারের কাজে সহযোগিতা করেছেন।
এ সময় কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়দুল হক, এসআই, এএসআই এবং বেশ কয়েকজন কনস্টেবল থানায় উপস্থিত ছিলেন।