কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনের সৈকতে ভেসে আসা ৬০ কেজি ওজনের একটি টুনা মাছ ধরেছেন জেলেরা। ট্রলার চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপেই মাছটি ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে সেন্টমার্টিনের পশ্চিম পাড়া মেরিন পার্ক সমুদ্র সৈকত পয়েন্টে মাছটি ধরা পড়ে বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আক্তার কামাল।
বঙ্গোপসাগরের হাঁটু সমান পানি থেকে মাছটি ধরেন সেন্টমার্টিন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কোনা পাড়ার বাসিন্দা আবদু সালামের ছেলে নূর আলম (৩৫)। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে আমার বন্ধু ইউনুসসহ দক্ষিণ পাড়া সমুদ্র সৈকতে ঘুরছিলাম। এই সময় সাগরের হাঁটু পানিতে একটি বড় মাছ ভাসতে দেখলে আমরা একটি জাল নিয়ে এসে মাছটি ধরে সমুদ্র সৈকতে তুলে নিয়ে আসি। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, পরে মাছটি সেন্টমার্টিন জেটিঘাটে নিয়ে গেলে দেখতে ভিড় জমায় লোকজন। ৬০ কেজি ওজনের মাছটি ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে চাইলেও পরে স্থানীয় মেম্বার সৈয়দ আলম মাছটি ২০ হাজার টাকায় কিনে নেন।
ইউপি সদস্য সৈয়দ আলম বলেন, শখের বশে বড় টুনা মাছটি কিনে নিয়েছি। পরে কেটে আমরা ১৮ জন ভাগ করে নিয়েছি মাছটি। খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে মাছটি।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আক্তার কামাল বলেন, আঞ্চলিক ভাষায় সেন্টমার্টিনের জেলেরা মাছটিকে বোমা মাইট্যা মাছ হিসেবে চেনেন। এর আগে সেন্টমাটিনের এত বড় টুনা মাছ ধরা পড়ে নেই। মাছটি ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি লম্বা, ৬০ কেজি ওজনের। আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে ট্রলার চলাচল বন্ধ ছিল। মাছটি কক্সবাজার বা চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রি করতে পারলে ভালো দাম পাওয়া যেত।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, এটি ব্যতিক্রম ঘটনা। সচরাচর এত বড় টুনা মাছ বঙ্গোপসাগরে আসে না। কারণ এই সাইজের টুনা অনেক গভীর জলের মাছ। সম্ভবত মাছটি দলছুট হয়ে চলে এসেছে। বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়া টুনা মাছগুলো ৪–৫ কেজির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। তিনি জানান, টুনা মাছের বৈজ্ঞানিক নাম ঞযঁহহঁং। এ মাছের মধ্যে আটলান্টিক ব্লুফিন গ্রুপ সবচেয়ে বড়। মাছটি দুইশ কেজিও হতে পারে। তবে বড় সাইজের টুনা মাছ পাওয়া যায় আটলান্টিক মহাসাগরে।