চিটাগাং চেম্বার সাম্প্রতিক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণবিপ্লবের সকল বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও আত্মার মাগফেরাত কামনা করছে। একই সাথে শোক সন্তপ্ত সকল শহীদ ও নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ এবং আন্দোলনে যারা আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করেছেন তাদের সুচিকিৎসা ও দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়েছে।
একটি দেশের অগ্রগতি, পথচলা ও দিকনির্দেশনায় ছাত্র ও যুবসমাজের ভূমিকা কতটা কার্যকর ও অপরিহার্য তা এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আবারও প্রমাণ করলো ন্যায়ের পক্ষে ছাত্র সমাজের আন্দোলনকে কখনোই দমিয়ে রাখা সম্ভব নয়। চিটাগাং চেম্বার বিশ্বাস করে এই তরুণ নেতৃত্বের হাত ধরেই একটি বৈষম্যবিরোধী ও প্রকৃত অর্থে গণতান্ত্রিক আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে খুব শীঘ্রই।
চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় যদিও গত মঙ্গলবার হতে দেশের সকল ধরনের সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালু ও অফিস আদালত খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে নিরাপত্তা শঙ্কায় অনেক প্রতিষ্ঠান এখনো তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসতে পারছে না। বিশেষ করে, দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য খালাস ও কাস্টমসের কার্যক্রমেও এক ধরনের ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতে করে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয়সহ বিভিন্ন আমদানি পণ্যের সরবরাহ, বিঘ্নিত হচ্ছে সামগ্রিক সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থা ও ব্যাহত হচ্ছে রপ্তানি কার্যক্রম। একদিকে আমদানি নির্ভর কাঁচামাল সংকট অন্যদিকে রপ্তানি বিলম্ব, সবমিলিয়ে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মহীনতা ও স্থবিরতার উপক্রম হচ্ছে।
তাই, জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের স্বাভাবিক কার্যগতি ফিরিয়ে আনাসহ সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি অফিস এবং শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তথা বেসরকারি খাতের পথচলাকে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখতে জরুরি ভিত্তিতে সামগ্রিক আইন–শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সকল সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা বিধান এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ পুনরুদ্ধার, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির এক আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে চিটাগাং চেম্বার সহযোগী ভূমিকা পালন করবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।