লিবারেল ইসলামিক জোটের এক জরুরি সভা গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন লিবারেল ইসলামিক জোট ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, স্বৈরাচারের পতনে দেশের মানুষ উল্লসিত। যে কাজ বিগত ১৬ বছর ধরে রাজনৈতিক দলগুলো করতে পারেনি তা করে দেখিয়েছে ছাত্রজনতা। আমরা জোটের পক্ষ থেকে গণঅভ্যুত্থানের বীর নায়কদের অভিবাদন ও শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। পাশাপাশি এই অভ্যুত্থানকে কেউ যেন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে না পারে সেই দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তাই সংখ্যালঘুদের মন্দির ও ঘর–বাড়িতে হামলাসহ বিভিন্নভাবে যে সহিংসতা হচ্ছে তা বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, দেশকে স্থিতিশীল ও আইনের শাসনে নিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
জোটের সভায় লিবারেল ইসলামিক জোটের নীতিমালা লঙ্ঘন করে গত ৩ আগস্ট ছাত্র–জনতার ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের বিরুদ্ধে তথা দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের দমন–পীড়ন ও নির্যাতনের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় সর্বসম্মতিক্রমে জোটের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও ইসলামি ঐক্য জোটের (একাংশ) চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরীকে দলের সকল প্রকার কর্মকাণ্ড থেকে বহিষ্কার করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জনদল বিজিডির চেয়ারম্যান ও লিবারেল ইসলামিক জোটের কো–চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী, লিবারেল ইসলামিক জোটের কো–চেয়ারম্যান ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ–ভাসানী) চেয়ারম্যান মো. হাসরত খান ভাসানী, মহাসচিব খালেদ শাহরিয়ার, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক পার্টির (কেএসপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মো. বাচ্চু হাওলাদার, জোটের দপ্তর সম্পাদক মো. ইব্রাহিম মিয়া, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম মহাসচিব মো. আসলাম হুসাইন, স্থায়ী পরিষদ সদস্য মো. শাহ আলম অভি প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।