নিরাপত্তা ইস্যুতে গতকাল দুপুরে কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তারা। গতকাল রাতে দৈনিক আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফাইজুর রহমান।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টমসে সকাল থেকে শুল্কায়ন কার্যক্রম শুরু হয়। তবে অন্য স্বাভাবিক দিনের তুলনায় সেবাগ্রহীতাদের সংখ্যা ছিল অর্ধেকের মতো। এর মধ্যে কর্মকর্তাদের কাছে খবর আসে নিরাপত্তাজনিত কারণে সচিবালয় থেকে কর্মকর্তা–কর্মচারীরা দুপুরে বের হয়ে গেছেন। এছাড়া পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় দেশের অন্যান্য কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম আয়কর বিভাগের একটি ভবনে হামলা হচ্ছে, এমন খবর চট্টগ্রাম কাস্টমসে ছড়িয়ে পড়ার পর কর্মকর্তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এ সময় কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের কমিশনারের সাথে আলোচনা করেন। কাস্টমসের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালককে (নিরাপত্তা) বিষয়টি অবহিত করা হয়। এ সময় বন্দরে দায়িত্বরত সেনা সদস্যের একটি টিম দ্রুত কাস্টমসে এসে পৌঁছায়। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম
কাস্টমসের কমিশনার নিরাপত্তা ইস্যুতে সব কর্মকর্তাদের নিয়ে দুপুর ২টার দিকে কাস্টম হাউস ত্যাগ করেন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তারা সবাই উপস্থিত ছিলেন। তবে দুপুরের পর নিরাপত্তা ইস্যুতে কাজ বন্ধ করে দেন কর্মকর্তারা। তবে আজ (গতকাল) অন্য স্বাভাবিক দিনের হিসেবে ৫০ শতাংশ কাজ হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানি রিগ্যান দৈনিক আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম আয়কর বিভাগে হামলা হচ্ছে, এমন একটি খবর চট্টগ্রাম কাস্টমসে ছড়িয়ে পড়ার পর কর্মকর্তারা দুপুর দেড়টার পর তড়িঘড়ি করে কাস্টম হাউস ত্যাগ করেন। সকাল থেকে কাস্টমসের কার্যক্রম মোটামুটি স্বাভাবিক ছিল। তবে হঠাৎ করে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা একটু বেকায়দায় পড়ে গিয়েছি। কারণ কর্মকর্তারা চলে যাবেন, এটি আমরা অবগত ছিলাম না। অনেক কর্মকর্তা কন্টেনারে পণ্য পরীক্ষণ না করে চলে যান।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফাইজুর রহমান দৈনিক আজাদীকে বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনারা সবাই অবগত আছেন। আজ (গতকাল) সচিবালয়ে দুপুরের দিকে কর্মকর্তা–কর্মচারীরা কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন। কারণ অনেকে নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছেন। এছাড়া আমাদের এখানে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও মালামাল রয়েছে। তাই আমরা দুপুর ২টার দিকে কর্মস্থল ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে আগামীকাল (আজ) আমরা স্বাভাবিক সময়ে কাজে যোগ দিবো।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম কাস্টমসে স্বাভাবিক দিনে আমদানি–রপ্তানি মিলিয়ে দিনে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার বিল অব এন্ট্রি দাখিল হয়।