গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের জামিন

| বুধবার , ৭ আগস্ট, ২০২৪ at ৭:৫৫ পূর্বাহ্ণ

সাড়ে ১৭ বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে আটক বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন আল মামুন সোনালী ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা দুদকের মামলায় জামিন পেয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আদালত পরিদর্শক আমির হোসেন জামিনের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামুনের আইনজীবী হেলাল উদ্দিন বলেন, এখন সবগুলো মামলায় মামুন জামিন পেয়েছেন। তিনি এরই মধ্যে আটক হওয়ার পর থেকে কারাগারে যে সময় কাটিয়েছেন, তা তার সাজাভোগের সময়ের চেয়েও বেশি। এ কারণে তার সাজা পাওয়ার মামলা শেষ হয়ে গেছে। উচ্চ আদালত থেকে বাকি মামলাগুলোতে মামুনের আগেই জামিন পাওয়ার তথ্য দেন সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার। খবর বিডিনিউজের।

গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছর ৩০ জানুয়ারি গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অর্থপাচার, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০টির বেশি মামলা রয়েছে।

২০১৩ সালে ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে আদালতের রায়ে সাত বছর কারাদণ্ড হয় মামুনের। এর আগে অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড হলেও, হাই কোর্ট তা বাতিল করে দেন।

গতকাল মামুন যে মামলায় জামিন পেলেন তা দুদক ২০২২ সালের জুনে দায়ের করেছিল। সোনালী ব্যাংকের ঋণের নামে ৩২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামুন ও তার প্রতিষ্ঠান মেসার্স ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের অন্যান্য মালিকের বিরুদ্ধে এ মামলা করে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মামুন মেসার্স ওয়ান স্পিনিং মিলসের এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অন্যান্য কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে জামানত ছাড়াই ঋণপত্র স্থাপন এবং ঋণের শর্ত প্রতিপালিত না হওয়ার পরও এলটিআর সৃষ্টি করে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ করেন। ওয়ান স্পিনিং মিলসের এমডি গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন ওই কোম্পানির চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশীদ, পরিচালক নাসির উদ্দিন মিয়া, এ এইচ এম জাহাঙ্গীর ওরফে আবু হাসান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ও রাজিব সিরাজ এবং ওরিয়ন মাশরুম লিমিটেডের পরিচালক জি আর চৌধুরী ওরফে গোলাম রব্বানী চৌধুরী। অপরদিকে সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তাদের মধ্যে আসামি হলেন সাবেক এমডি মুহম্মদ তাহমিলুর রহমান, সাবেক জিএম মো. মিজানুর রহমান ও মো. শফিকুর রহমান, ডিজিএম মো. আমানুল্লাহ, খন্দকার মোশারফ আলী, মো. কামরুল ইসলাম ও আবু জাফর মো. সালেহ, সাবেক এজিএম মো. আলী আরশাদ, মো. আবু মুসা ও আব্দুল গফুর ভুঁইয়া, সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আতিকুর রহমান ও এস এম এম আওলাদ হোসেন, সাবেক সহকারী প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাক ও ওয়াহিদ উদ্দিন আহম্মদ এবং সাবেক সিনিয়র অফিসার (এফএ) মো. শাহ আলম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবান্দরবানে পুলিশে অসন্তোষ
পরবর্তী নিবন্ধচাকরি গেল আইজিপি মামুনের, নতুন পুলিশ প্রধান ময়নুল